শীতে ফুলকপি খেতে ভুলবেন না

একটু শীত শীত পড়তে শুরু করলেই মৌসুমি সবজিতে বাজার সেজে ওঠে। ফুলকপি না কিনে বাসায় ফিরতে কেমন অসম্পূর্ণ থেকে যায়, ফুলকপির এমনই চাহিদা। সারা ঋতু ফুলকপি খাবেন কিন্তু এর উপকারিতা জানবেন না, তাই কি হয়?

ফুলকপি, বৈজ্ঞানিক নাম ব্রাসিকা অলেরাসিয়া। ফুলকপি খনিজ ও ভিটামিনের অন্যতম উৎস। শীতের এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, নিয়াসিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ফলেট, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, ভিটামিন সি, কে ও বি৬ থাকে। মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটকেমিকেলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর উপাদান মানবদেহের পুষ্টিঘাটতি পূরণ করে।

দাঁতে এবং হাড়ের জোর বাড়ায় ফুলকপি। এতে দাঁত-হাড় শক্তিশালী হয়। এটি ওজন কমিয়ে শরীর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ক্ষতস্থানের রক্ত জমাট বাঁধতে ভিটামিন কে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রতিদিনের খাদ্যের ভিটামিন কে-এর চাহিদা পুরণ করে ফুলকপি। এক কাপ ফুলকপি থেকে এগারো মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে পাওয়া যায়।

ফুলকপিতে ক্যারোটিনয়েডস এবং ফাইটোহরমোন আছে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে এগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা ছাড়াও ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।এর ম্যাগনেসিয়াম প্যারা-থাইরয়েড়কে উদ্দীপ্ত করে যা হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে। এটির সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সহ ক্রনিক ইনফেকশন কমাতে কার্যকরী। ফুলকপিতে থাকা সোডিয়াম রক্তের সঠিক ঘনমাত্রা বজায় রাখে।

ফুলকপি হৃদপিণ্ড সতেজ রাখে। ফুলকপি শারীরিক দুর্বলতা কাটায়। চোখের যত্নেও ফুলকপির তুলনা নেই। ফুলকপির ভিটামিন বি উপাদান ও Choline উপাদান আমাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখতে ভীষণ উপকারি। গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি  বিশেষ উপকারি। ফুলকপি ফুসফুসের রোগ সৃষ্টিকারী ভয়াবহ জীবাণু ধ্বংস করে দেয় এবং ফুসফুসকে ভালো রাখে।

সবচেয়ে বড় বিষয় হল, এতো সব উপকার একটি মাত্র সবজিতে। তাই এই মৌসুমে রান্না করে, সালাদের সঙ্গে, স্যুপে ফুলকপি দিতে ভুলবেন না যেন।