এক কাপ কফি পানের পর শরীরে কী ঘটে জানেন?

কফি তো আমরা প্রায়ই খাই। একটা সময় বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে কফি খাওয়ার প্রবণতা তেমন ছিলো না। কিন্তু দিনে দিনে কফি হয়ে উঠছে অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়। এক সময় কফি পাওয়া যেতে কেবল বড় বড় দামি দোকানে। কিন্তু এখন ফুটপাথের চায়ের দোকানেও দেখা মিলে কফি মেশিনের। তো এই কফি এক কাপ পান করে নিলে কী ঘটে শরীরে, তা কি আমরা জানি?

ব্রাইটসাইড নামের একটি প্রতিষ্ঠান কফি পানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে, তা নিয়ে একটি গবেষণা করেছে। সেই গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ সব তথ্য। যা আপনাকে কফি পানে আরো উৎসাহী করে তুলতে পারে।

১০ মিনিট পর
পান করার ১০ মিনিটের মধ্যে কফি মানব শরীরের রক্তস্রোতের সঙ্গে মিশে যায়। এর ফলে হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়।

২০ মিনিট পর
এই সময়ে ঘটতে থাকে সবচেয়ে নাটকীয় ব্যাপারটা। কফি পানকারী নিজেকে ঝড়ঝড়ে অবস্থায় আবিস্কার করেন। মনোযোগ হয়ে উঠে তীক্ষ্ম। কর্মক্ষমতা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। যে কোনো ধরনের সমস্যা সমাধানে আপনি হয়ে উঠতে পারেন আরো তৎপর এবং দ্রুত গতি সম্পন্ন। একই সঙ্গে এই সময়ে আপনি আপনার ব্রেনের বেশিরভাগ অংশ ব্যবহারে সক্ষম হয়ে ওঠেন।

৩০ মিনিট পর
এ সময় শরীর অনেক বেশি হরোমন নিসৃত করা শুরু করে, যে হরোমন আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। পলে দৈনন্দিন কাজে কফি আমাদের আরো বেশি মনোযোগী করে তুলতে পারে।

৪০ মিনিট পর
শরীরের সেরোটনিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা মোটর নিউরনকে জাগিয়ে তুলে। ফলে মাংসপেশীর শক্তি বেড়ে যায়।

চার ঘণ্টা পর
কফি শরীরের কোষগুলো থেকে অধিক পরিমাণে শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে চর্মি পুড়ে যায়, এমন কি কোনো নড়াচড়া না করলেও এ ব্যাপারটি ঘটে।

ছয় ঘণ্টা পর
এই সময়ে একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কফি পানের ফলে আপনার মূত্রের চাপ এই সময়ে এসে বেড়ে যেতে পারে। একই সময়ে শরীরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং মিনারেল শরীর থেকে বেরিয়ে পড়ে। তবে এটির মাত্রা খুবই সামান্য।