‘প্রাণঘাতি’ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর ৬টি উপায়

হার্ট অ্যাটাক বর্তমানে একটি আতঙ্কের নাম! কখন যে কে আক্রান্ত হয়ে পড়ে বলা মুশকিল। রোগটিতে এ পর্যন্ত কত মানুষ যে মৃত্যুর মুখে পড়েছেন, তার কোন হিসাব নেই। প্রাণঘাতি এই রোগটি সম্পর্কে চাইলেই সতর্ক থাকা যায় এবং অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া যায়।

চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক চিকিৎসকদের মতে কোন কোন কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে এবং কোন বিষয়গুলোতে সতর্ক ও সচেতন হলে ঝুঁকি এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে-

এক > অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার: চর্বিযুক্ত খাবারে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। লাল মাংসে সাধারণত চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। আর প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস হলে হৃদরোগের ঝুঁকি এবং মলাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বাড়ে। তাই এই ব্যাপারে অবশ্যই সাবধান হতে হবে, চাইলেই মাংস খাওয়া উচিত না।

দুই > ধূমপান: দীঘদিন ধরে বলে আসলেও অনেকেই এই কথাটি কানে তুলতে চান না যে, ধূপমান হৃদরোগের কারণ। ধূপমান করার ফলে একজন সুস্থ মানুষ ধীরে ধীরে হৃদরোগের দিকে ঝুঁকে যান। হঠাৎ করে যখন অ্যাটাক করে বসে তখন রোগি নিজেও বুঝতে পারেন না কেন এমন হল। তাই সতর্ক ও সচেতন হন এবং ধূমপান ছাড়ুন।

তিন > মদ্যপান: মদ্যপান করলে রক্তে চর্বির পরিমাণ ও উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। হার্ট অ্যাটাকেরও অন্যতম কারণ মদ্যপান করা। অতিরিক্ত ক্যালরিতে শরীরের ওজন বাড়ে যা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

চার > অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ: যাদের ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যদি এর ব্যাঘাত ঘটে, তবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।

পাঁচ > ব্যায়ম না করা: ব্যায়াম না করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘক্ষণ নড়াচড়া না করার ফলে রক্তে চর্বি এবং সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। সুতরাং একটানা বেশিক্ষণ বসে থাকা যাবে না। প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করা উচিত। বয়স বাড়লে ব্যায়াম করবো এমন ধারণায় না থেকে আজ থেকেই ব্যায়াম শুরু করে দিন।

ছয় > অবসাদ: মানসিক চাপ, বা অবসাদগ্রস্ততা আপনার হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি করে। মানসিক চাপ অবদমন করলে তা আপনার দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। তাই এক্ষেত্রেও সচেতন হতে হবে।