যেভাবে ব্যস্ত জীবনের ধকল সামলিয়ে সতেজ থাকবেন

সুপার ফাস্ট জীবনে সব কিছুই যেন দ্রুত চলে যায়। আর এই চলে যাওয়ার প্রথমটি হচ্ছে সময়। সময়কে যেহেতু বেঁধে রাখা যাবে না তাই এর সাথেই পাল্লা দিয়ে ছুটতে হচ্ছে আমাদের। আর নিরন্তর এই ছুটে চলার ফলে শরীর হয়ে পড়ছে নিস্তেজ, প্রাণহীন। অল্পেই ঝিমিয়ে পড়ছি আমরা। আর এতে করে নিজের ও কাজের দুটোরি ক্ষতি হচ্ছে সমান্তরালে। তাড়াহুড়া করতে গিয়ে ঠিকমতো খাবার খাওয়া হচ্ছে না। আবার অসুস্থতাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। তাই এই ব্যস্ত নগরজীবনে সুস্থ থেকে জীবন চালিয়ে নিতে মানতে হবে কিছু কৌশল।

ঘুম ভেঙেই ছুটতে হয় কাজের পানে। তাই বেশির ভাগ দিন শুরুই হয় নাস্তা না খেয়ে। সময়ের অভাবে এক কাপ চা আর কুকিজ দিয়ে নাস্তার পর লাঞ্চ। এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে শরীর অসুস্থ হবেই। তাই যথাসম্ভব সকালের খাবার বাসায় খেয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করুন। নিতান্তই সম্ভব না হলে খাবার প্যাকেট করে অফিসে নিয়ে যান।

সকালে উপকারী ও সময় বাঁচায় এমন একটি খাবার 'মুইসলি'। ওটস, শস্যদানা কর্নফ্লেক্সের মিশ্রন মুইসলিতে আছে ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালরি, ফাইবার, এন্টি ওক্সিডেন্ট ও আয়রন। তাই দিনের শুরুতে এই খাবারটি খেলে শরীর অসুস্থ হওয়া থেকে মুক্তি ও কাজে উৎসাহ পাবেন।

মুইসলির সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন মধু। স্বাদের পাশাপাশি শরীরও পাবে পুষ্টি। এই একটি খাবারেই আছে প্রায় সকল মিনারেলস, ভিটামিন, এমিনো এসিড যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ওজন রাখে নিয়ন্ত্রণে। আবার রক্তে চিনির পরিমাণ ও কোলেস্টেরল কমায়।

শরীর সতেজ ও কর্মক্ষম রাখতে পান করতে পারেন গ্রিন টি। লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করলে একঘেয়েমি দূর হবে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে পান করতে হবে প্রচুর পরিমাণে পানি যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেবে।

আর প্রতিদিন টুকটাক ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাসে আপনি থাকবেন ঝরঝরে ও সুস্থ। এনার্জি বাড়াতে ডায়েটে থাকতে হবে প্রচুর শাক-সবজি ও ফলমূল। দামি নয় পুষ্টিকর খাবার হোক নিত্যসঙ্গী আর সুস্থতা হোক মূল পাথেয়।