বিশ্বে মহামারি রোগের অধিকাংশই মশাবাহিত। ম্যালেলিয়া ও ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। মশা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে পতঙ্গটিকে নির্মূলে মাঠে নেমেছেন বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে সফলতা এসেছে বলেও দাবি। গবেষকরা বলছেন, মশার জিন এডিটিং করে দিলেই মশা আর মানুষকে কামড়াবে না। কারণ জিন পরিবর্তিত মশা কামড়াতে এবং বংশ বিস্তারে ডিম উৎপাদন করতে পারবে না।

mosquito 01 2018

গবেষকদের দাবি, 'অ্যানোফিলিস গাম্বী' প্রজাতির মশা ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী। এই প্রজাতির মশার বিশেষ একটি জিন খুঁজে পাওয়া গেছে। বিশেষ এই জিনটির নাম 'ডাবলসেক্স'। মশাটি পুরুষ হবে নাকি স্ত্রী, এই জিনই নির্ধারণ করে দেয়। এবার তাই ডাবলসেক্স জিনটিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাগারে পরিচালিত পরিক্ষায় ইতিমধ্যে সফলতাও পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা জানান, ডাবলসেক্স জিনটিকে এডিট করার ফলে পুরুষ মশার মধ্যে কোনো পরিবর্তন না আসলেও স্ত্রী মশাটি আর মানুষকে কামড়াবে না। একইসাথে বংশবৃদ্ধির জন্য ডিমও পাড়তে পারবে না।

mosquito 2018

ন্যাচার বায়োটেকনোলজিতে প্রকাশিত একটি জার্নালে প্রফেসর আন্ড্রিয়া ক্রিসান্তি জানান, ল্যাবরেটরিতে পরিচালিত গবেষণায় জিন এডিটিং করার ফলে 'অ্যানোফিলিস গাম্বী' প্রজাতির মশা সাত থেকে এগারো প্রজন্মের মধ্যেই একেবারে নির্মূল হয়ে গেছে। পুরো প্রক্রিয়াটিতে সময় লেগেছে ছয় মাস।

এর আগে মশার জিন এডিটিং করার মাধ্যমেই ম্যালেরিয়া নির্মূল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তা সফল হয়নি। কারণ জিন এডিট করে দেয়ার পর প্রাকৃতিকভাবেই আবার সেই জিনটি মশার মধ্যে পুন:স্থাপিত হয়। কিন্তু ডাবলসেক্স এমন একটি জিন যেটির প্রাকৃতিক পুন:স্থাপন সম্ভব নয়। বরং এমন হতে গেলে মশাই হুমকির মধ্যে পড়বে। এ কারণেই এবার পৃথিবী থেকে মশাবাহিত রোগ একেবারে দূর করার স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানীরা।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.