ঘর সাজান দক্ষতায়

নিজের ঘর নিজের ইচ্ছা মতোই সাজানো উচিত। অন্যের পছন্দে ঘর সাজালে মন খুঁতখুঁত করে অনেকেরই। তাই ঘর সাজানোর বেলায় প্রাধান্য দিন নিজের ইচ্ছাকেই। সবকিছু গুছিয়ে রাখতে অভ্যাস করুন। কোন জিনিসটা কোথায় রাখবেন আগে থেকেই মাথায় ঠিক করে রাখতে পারেন।

স্বামী বা পরিবারের অন্য সদস্যরা হয়তো একটু অগোছালো কিংবা কিছুটা এলোমেলো থাকতে স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করেন। সেক্ষেত্রে পরিবারের নারী সদস্যদের এ ব্যাপারে নজর রাখতে হবে। ঘরকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় দেখাতে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

সদর দরজার চাবি খুঁজে প্রায়ই হেনস্তা হতে হয়? আজ থেকে দরজার পিছনেই ছোটো একটা পিন বসিয়ে নিন। পরিবারের সবাইকে জানিয়ে দিন, বাইরে থেকে ফিরে চাবি ঝুলিয়ে রাখতে ওই পিনে। ব্যস, চাবি নিয়ে আর ঝামেলা হবে না।

বাড়ির গ্যাস বিল, পানি বিলের কাগজ মাঝে মাঝেই খুঁজে পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে পকেটওয়ালা একটা ব্যাগ স্টোর রুমে নির্ধারিত করে রাখুন। কোন পকেটে কীসের বিলের কাগজ রাখবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন। এভাবে রাখলে কয়েক বছর পরে হলেও বিলের কাগজ নিয়ে আর হয়রান হতে হবে না।

বেডরুমের খাটের পাশে একটা ছোটো সাইড ড্রয়ার রাখুন। অফিস থেকে ফিরে যেনো মানিব্যাগ, অফিসের চাবি, প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র ওই ড্রয়ারেই রাখতে পারে। প্রতিদিন সকালে অফিসে যাওয়ার আগে ঝামেলা কমবে।

পরিবারের স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ঘরে একটা চা খাওয়ার টেবিল রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে চায়ের টেবিলটি রাখুন ঘরের কোণে। সকালে পত্রিকা দেখতে দেখতে চা খাওয়া কিংবা বিকালে দু’জনে চা খেতে খেতে আলাপ করা -সবই চলবে। তবে টেবিলটি হতে হবে এমন, যেনো দু’জনেই পা ছড়িয়ে দিয়ে বসতে পারেন।

এরকম আরও খুঁটিনাটি বিষয়গুলির দিকে নজর দিন। ছোটো ছোটো এই ব্যাপারগুলোই সংসারকে করে তুলবে ঝামেলাহীন সুখী সংসার।