সোনামণির ঘরের দেয়াল

সাধারণত পুরো বাড়ি একই রঙে রং করাতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু শিশু বিশেষজ্ঞরা বলেন, অন্তত ছোটো বাবুটার ঘরটা একটু আলাদা রঙের হওয়া চাই। ছোট সোনামণির ঘর রঙ করার আগে তারও একটা মতামত নিন। হয়তো সে এমন একটা রঙ পছন্দ করবে যেটা আপনার কাছে মোটেও ভালো লাগবে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ওই ঘরে আপনি নয়, আপনার সোনামণিটাই থাকবে।

সুযোগ পেলেই ঘরের দেয়ালে পেন্সিল দিয়ে আঁকিবুঁকি করা ছোটোদের অভ্যাস। কখনো ফুল, কখনো ঘর-বাড়ি-নদী, কখনো বা কল্পনার ভয়ঙ্কর আশ্চর্য সব দেও-দানোর আঁকাআঁকিতে ভরপুর থাকে তাদের ঘরের দেয়াল। তাই বাবুটার ঘরের দেয়ালের এমন কোনো রঙ হওয়া উচিত যাতে তারা খুব সহজেই আনন্দ নিয়ে দেয়ালে আঁকতে পারে।

আপনিও তার ঘরের দেয়াল সাজিয়ে দিতে পারেন। তার পছন্দের কার্টুন, কমিক্স কিংবা নায়কের চরিত্র এঁকে দিতে পারেন তার ঘরের প্রধান দেয়ালে। বিছানার মাথার কাছে আঁকতে পারেন একটি বড় গাছ। ঘরের ছাদ জুড়ে সৌরজগত কিংবা মহাকাশ এঁকে দিতে পারেন। থাকতে পারে প্লাস্টিকের কৃত্রিম জ্বলজ্বলে তারা কিংবা গ্রহ।

বাচ্চাদের ঘরে উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করাই ভালো। তবে তা যেনো চোখে পীড়া না দেয়। চোখে আরামদায়ক এমন ব্রাইট কালার দেয়ালে ব্যবহার করুন। মেয়ে বাচ্চার জন্য ঘরের দেয়ালের রঙ হালকা কমলা, হালকা নীল কিংবা বেগুনী রঙ দেয়া যেতে পারে। এছাড়া গোলাপি রঙ তো আছেই।

ছেলে শিশুদের জন্য ঘরের দেয়ালে হালকা সবুজ, ধূসর, কিংবা নীল রঙ ব্যবহার করা যেতে পারে। সাথে কল্পনার কোনো চরিত্র, ফুল, লতা-পাতার ছবি এঁকে দেয়া যায়। তবে যেদিকে মুখ করে ঘুমাবে সেদিকে কোনো চিত্র না আঁকলেই ভালো। এর ফলে ঘুমানোর সময় ঘর বড় বড় মনে হবে।

এছাড়া আরও নানান পরামর্শের জন্য শিশু মনোবিদের শরণাপন্ন হতে পারেন।