অবশেষে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ল চীনা সেই মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং-১। আজ সোমবার দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে স্টেশানটি। তারপর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে এসে পড়ে তিয়ানগং-১। পৃথিবীতে পড়ার আগে স্টেশনটির বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গেছে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

Chinese space station Tiangong

চীনা মহাকাশ কর্তপক্ষ এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশের কারণে স্টেশনটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে।

এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী ব্র্যাড টাকার বলেন, ‘তিয়ানগং-১ এর অবশিষ্ট অংশ তাহিতি’র (প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপ) ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘স্টেশনটির ক্ষুদ্র অংশই ভূপৃষ্ঠে পড়েছে। পুরো স্টেশনটির যা ১০ শতাংশের মতো, যার ওজন হবে ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।’

ব্র্যাড টাকার আরও বলেন, ‘খুব সম্ভবত ধ্বংসাবশেষ মহাসাগরে পড়েছে এবং মানুষ যদি এর ওপর দিয়েও যায় ঠিকভাবে বুঝতে পারবে না। মনে হবে সাগরের বর্জ্য, যা কয়েক হাজার কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে থাকবে।’

এর আগে চীনা ম্যানড স্পেস জানিয়েছিল, মহাকাশ স্টেশনটি ৪৩ ডিগ্রি উত্তর থেকে ৪৩ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ বরাবর পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। তাদের গবেষণা অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ড থেকে আমেরিকার মধ্য-পশ্চিমের মধ্যে মহাকাশ স্টেশনটি পড়ার কথা ছিল। জানানো হয়েছিল, এই মহাকাশ যানটি ঘন্টায় ২৬ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটে আসছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে মহাকাশ স্টেশনে ডকিং সিস্টেমের পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য তিয়ানগং-১ নামের এই যানটি উৎক্ষেপণ করেছিল চীন। এর কয়েকবছর পর ৮ হাজার কেজি ওজনের এই স্টেশনটি বিকল হয়ে যায়। এরপর যানটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে চীন। তখন থেকেই এটি মহাকাশে ভাসমান অবস্থায় ছুটে বেড়াচ্ছিল।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.