মহাকাশে ঘূর্ণায়মান সেরা ৫ স্যাটেলাইট
- Details
- by মাহমুদ নূর ফাতিহ
বাংলাদেশ এখন স্যাটেলাইট তথা কৃত্রিম উপগ্রহের অধিকারী একটি গর্বিত দেশ। প্রযুক্তিগত এই উৎকর্ষতায় উচ্ছ্বসিত গোটা জাতি। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশে পাঠানো হয় স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। অত্যাধুনিক ফ্যালকন-৯ রকেটে করে সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয় এই স্যাটেলাইটের।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, বাংলাদেশই প্রথম স্যাটেলাইট প্রেরণকারী দেশ বিষয়টি এমন নয়। প্রায় ৬০ বছর আগে মহাকাশ যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৭শ’র বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। স্যাটেলাইট আছে এমন গর্বিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭তম।
বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় এই স্যাটেলাইট বা ভূ-উপগ্রহ। বাংলাদেশের স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর আমাদের দেশে আলোচনায় এসেছে আধুনিক বিশ্বের আশ্চর্য এই বিষয়টি। চলুন জেনে নেয়া যাক বিশ্বের শীর্ষ ৫ স্যাটেলাইটের খোঁজ-খবর-
১. হাবল: হাবল স্পেস টেকনোলজি তথা হাবল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৯০ সালে। ইএসএ এবং নাসার যৌথ উদ্যোগে স্পেস শাটল ডিসকভারির (এসটিএস-৩১) মাধ্যমে এটাকে মহাকাশে পাঠানো হয়। পৃথিবী এবং মহাকাশের বিভিন্ন ছবি পাঠিয়ে এটি জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে মানুষের বিস্ময়ের দুয়ার খুলে দেয়। এটি হাবল টেলিস্কোপ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে।
২. জিপিএস আইআইআর-১: এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৯৭ সালে। বলা হয়ে থাকে এই স্যাটেলাইট ছাড়া ‘জিও-ক্যাচিং’ সম্ভব হতো না। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই ‘ন্যাভস্টার’ প্রকল্প প্রথমে দেশটির সামরিক ব্যবহারের জন্য গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম-তথা জিপিএস নিয়ে আসে। পরবর্তীতে এটার সুবিধা পায় সাধারণ মানুষও। নৌ-বিদ্যার জন্য এই স্যাটেলাইটকে মাইলফলক হিসেবে ধরা হয়।
৩. ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস): আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের বড় ধরনের অগ্রগতি সাধিত হয় এই ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন তথা আইএসএস উৎক্ষেপণের মাধ্যমে। ১৯৯৮ সালে উৎক্ষেপণ করা এই কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে মহাকাশযান নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণ করা হয়। নভোচারীরা এখানে অবস্থান করে বায়োলজি, হিউম্যান বায়োলজি, জ্যোতির্বিদ্যা এবং আবহাওয়াবিদ্যাসহ নানান বিষয়ে গবেষণা করেন।
৪. ল্যান্ডস্যাট-৭: স্যাটেলাইট ছবির সংরক্ষণাগার তৈরিতে নতুন যুগের সূচনা করে ল্যান্ডস্যাট-৭ স্যাটেলাইট। এটি সবচেয়ে হালনাগাদ এবং ক্লাউড-ফ্রি ছবি পাঠাতে পারে। দিনে ৫৩২টি ছবি তোলা এবং তা গ্রাউন্ড স্টেশনে পাঠাতে সক্ষম ৩৭৮ গিগাবাইট সলিড মেমোরি সম্পন্ন ল্যান্ডস্যাট-৭ স্যাটেলাইট। এটি উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৯৯ সালে। আর এটি ব্যবহার করে ইউএসজিএস তথা মার্কিন ভূ-তত্ত্ব জরিপকেন্দ্র।
৫. গ্যালাক্সি-১৪: ২০০৫ সালে মহাকাশে পাঠানো হয় গ্যালাক্সি-১৪। এটা গ্যালাক্সি পরিবারের স্যাটেলাইটগুলোর একটি আপডেট ভার্সন। পূর্ব উপকূলে অধিকাংশ ডিজিটাল টিভি সিগন্যাল এই স্যাটেলাইট থেকেই আসে। ইএসপিএন, সিএনএন, লাইফটাইম, সাই-ফাই এবং হিস্টোরি চ্যানেলের মতো বহু জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করে থাকে।
লেখা: প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট বেস্টটপার ডটকম অবলম্বেনে...
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.