বিশ্বাস করা কঠিন যে পৃথিবী খেকে অন্য একটি গ্রহে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৭২ ঘণ্টা। তবে এমনটি দাবি করেছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার গবেষকরা বলেছেন নতুন এই রকেট যানে করে মানুষও মঙ্গলের বুকে পা রাখবে। মানুষ বহনে সক্ষম এই বিশেষ মহাকাশ যানটির নাম 'স্পেশাল লঞ্চ সিস্টেম' বা এসএলএ। খবর ফক্স নিউজ।

special lanch system

পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী রকেট এটি। লেজার প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই রকেটটি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে মঙ্গলগ্রহে যেতে সময় লাগে প্রায় ৫ মাস। নাসার বিজ্ঞানী ফিলিপ লুবিন দাবি করেছেন, এখন মঙ্গলে যেতে সময় লাগবে ৭২ ঘণ্টা।

আলোককণার ভরবেগের ওপরই লেজার প্রযুক্তি নির্ভরশীল। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুবিন এবং তার সহযোগীদের মতে, আলোককণা কোনো বস্তুতে প্রতিফলিত হলে সৃষ্ট ভরবেগ থেকে কোনো জিনিসকে ধাক্কা দেওয়ার অনেক শক্তি উৎপন্ন হয়। তবে বিশাল প্রতিফলনযোগ্য ডানা থাকলে লেজারকণাকে সেখানে ধাক্কা খাইয়ে মহাকাশযান চালানোর প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন করা সম্ভব।

গবেষকরা দাবি করেছেন, লেজার প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ১০০ কেজি ওজনের মহাকাশযানকে ৭২ ঘণ্টায় মঙ্গলে পৌঁছানো সম্ভব। এর আগে মহাকাশযানগুলো মূলত জ্বালানি থেকে প্রাপ্ত গতিতে নির্ভর করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিত।

গবেষকদের দাবি, নতুন মহাকাশযানটিত আলোক কণার মাধ্যমে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবে। লেজারের ইলেক্ট্রাম্যাগনেটিক রেডিয়েশন গতি দেবে যানটিকে। নতুন এই মহাকাশযানটি গবেষণায় বেশ সহায়ক হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে কবে নাগাদ মহাকাশযানটি ব্যবহার উপযোগী হবে সে বিষয়ক কোন ঘোষণা দেয়নি নাসা।

 

আপনি আরো পড়তে পারেন

সৌরজগতের নতুন গ্রহ 'প্লানেট নাইন'?

বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক

পৃথিবীর সাথে ধাক্কা লাগবে ‘টিবি১৪৫’ নামের গ্রহাণুর?

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.