জি-মেইলে নতুন এক ফাঁদ পাতা হয়েছে। নতুন এই ফাঁদে পা দিলেই হ্যাক হয়ে যেতে পারে আপনার অ্যাকাউন্ট। বিশেষজ্ঞরা এই ফাঁদের নাম দিয়েছেন ফিশিং। এই অনলাইন স্ক্যাম বা প্রতারণার ফাঁদ থেকে সুরক্ষিত থাকতে কোন লিংক থেকে লগইন হতে সাবধান থাকতে বলেছেন প্রযুক্তিবিদরা।

gmail pic12

ওয়ার্ডপ্রেসের নিরাপত্তাসেবা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ডফেন্সের প্রধান নির্বাহী মার্ক মন্ডার এই স্ক্যামটির প্রথম আবিস্কার করেন। তিনি বলেন, 'স্ক্যামটি অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদদেরও ধোঁকা দিতে সক্ষম হচ্ছে। সাধারণত মেইলে একটি লিংক পাঠিয়ে চতুরতার সাহায্যে এই হ্যাকের কাজটি করা হয়। জি-মেইলের পাশাপাশি অন্যন্য সেবাগুলোতেও হ্যাকাররা এই পন্থা অবলম্বন করছেন।'

ফাঁদটি সম্পর্কে জানা যায়, এই ফাঁদটি পেতে দুর্বৃত্তরা ব্যবহারকারীর ইনবক্সে মেইল পাঠায়। সাধারণত পরিচিত কারো আইডি থেকে বন্ধুর 'ছদ্ম' নিয়ে মেইলটি পাঠানো হয়। সেখানে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হতে পারে বা হচ্ছে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য থাকে। আর সঙ্গে থাকে একটি অ্যাটাচমেন্ট।

বন্ধুর বেশ নিয়ে পাঠানো সেই অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক করলে কোন কিছু না দেখিয়ে সরাসরি নতুন ট্যাব ওপেন হয়। নতুন ট্যাবে ব্যবহারকারীকে আবার লগ-ইন করতে বলে। ব্যবহারকারীরা সাইনইন করলেই ফাঁদে পড়ে যাবেন। যা একজন্য ব্যবহারকারী সহজে বুঝতে পারবেন না। ব্রাউজারের লোকেশনেও দেখানো হবে 'accounts.google.com'। ফলে সাধারণ চোখে সেই ছলনা বোঝা সহজ নয়।

প্রযুক্তিবিদরা পরামর্শ দিয়েছেন, সাইন-ইন করার আগে ব্রাউজারের লোকেশন অপশনে 'accounts.google.com' হোস্টনেমের আগে ‘https://' এবং তালার চিহ্ন ছাড়া অন্য কিছু আছে কি না তা লক্ষ রাখতে হবে। এই দুটির রং সবুজ কি না সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। বাঁ দিকে থাকা আইকন দুটির রং সবুজ না থাকলে মহাবিপদ। তবে কেউ যদি জি-মেইলে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করেন তাহলে পাসওয়ার্ড চুরি হলেও অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না হ্যাকাররা।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.