স্টিভ জবসের ছেলেবেলার ম্বপ্ন 'স্পেসশিপ ক্যাম্পাস'

অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস তার সর্বশেষ কাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি ক্যাম্পাস তৈরি করতে চেয়েছিলেন। আর আজ তার সেই কাজ ‘স্পেসশিপ ক্যাম্পাস’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় স্পেসশিপ ক্যাম্পাস অর্থাৎ অ্যাপলের প্রধান কার্যালয়ের নির্মাণের কাজ এখনো চলছে। বিজনেস ইনসাইডারে ভবনটি সম্পর্কে বেশ কিছু মজার তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। চলুন জেনে নিই, স্টিভ জবসের শেষ কাজ নিয়ে দারুণ কিছু তথ্য:

১. ছোটবেলা থেকে জবস একটি স্পেসশিপের মতো ক্যাম্পাসের স্বপ্ন দেখতেন। তিনি পুরো ক্যালিফোর্নিয়াকে তার কুপারটিনোর ক্যাম্পাসে তুলে আনতে চেয়েছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রতিফলন তার ক্যাম্পাসে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি।

২. সর্বমোট ১৭৬ একর আয়তনের এই ক্যাম্পাস নির্মাণে কাজ করছেন ১৩ হাজারের বেশি কর্মী।

৩. অ্যাপলের এই কার্যালয়টি বিশ্বের বৃহত্তম বাঁকানো কাঁচের ভবন হতে চলেছে। চারতলা ভবনের কাঠামোর দুই দিকে থাকছে বিশাল কাঁচের দেয়াল।

৪. ক্যাম্পাসের ভেতর প্রচুর সংখ্যক গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছে অ্যাপল। ধারণা করা হয়েছে, অন্তত সাত হাজার গাছ লাগানো হবে সেখানে।

৫. অ্যাপলের অভ্যন্তরীণ নির্মাণ টিম কড়া নির্দেশনা মেনে ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। ভবনের কাঁচের দেয়াল থেকে যাতে কোন রকম আলোর প্রতিফলন না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে। এছাড়া সূক্ষ্ম বস্তুগুলো ধরার আগে কর্মীরা হাতমোজা ব্যবহার করছে। ভবনের কাঠের কাজ করা নিয়ে ৩০ পাতার নীতিমালা মেনে চলা হচ্ছে।

৬. ভবনের যে এলিভেটরের বোতামগুলো আইফোনের হোম বাটনের মতো করে তৈরি করা হচ্ছে।

৭. স্পেসশিপের টয়লেট সিটগুলো তৈরি করা হচ্ছে আইফোন ৭ আকৃতির মতো করে।

৮. নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর এই কার্যালয়ে প্রবেশ করতে স্পিভ জবসের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করা হবে।

৯. অ্যাপল এই ভবন নির্মাণে খরচের বিষয়ে কিছুই জানায়নি। তবে আনুমানিক ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করে নির্মাণ করা হচ্ছে এই কার্যালয়।

১০. নিখুঁত কাজই ছিল ভবন নির্মাণে স্টিভ জবসের প্রথম দাবি। তাই ২০১৫ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বাড়তি সময় লাগছে। তবে খুব দ্রুতই চালু হতে পারে অ্যাপলের এই নতুন ক্যাম্পাস।