আত্মহত্যা রোধে ফেসবুকের নতুন অপশন

মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষদের জীবনমুখী করার মাধ্যমে আত্মহত্যা প্রবণতা রোধ করতে কীভাবে ফেসবুক অবদান রাখতে পারে, তা নিয়ে কাজ করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদন জানায়, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে আত্মহত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটছে! ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়, যাদের অধিকাংশই ফেসবুক ব্যবহার করেন। তাই বিপর্যস্ত এসব মানুষকে বেঁচে থাকার প্রয়াস যোগাতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করেছে।

এই লক্ষ্যে ফেসবুক গত বুধবার একটি নতুন প্রোগ্রাম বা টুল চালু করেছে যা আত্মঘাতী চিন্তা থেকে মানুষকে দূরে সরতে সাহায্য করবে।

এই টুল কিভাবে কাজ করবে সে সম্পর্কে ফেসবুক গবেষক জেনিফার গুয়াদাগনো বলেন, 'ধরুন আপনার বন্ধু তালিকার একজন আত্মহত্যাপ্রবণ স্ট্যাটাস বা পোস্ট দিয়েছেন। অথবা ফেসবুক লাইভে হতাশামূলক কথা বলছেন। যদি আপনি বুঝতে পারেন ব্যক্তিটি আত্মহননের চেষ্টা করছে তবে ‘সুইসাইড প্রিভেনশন টুল'টি কাজে লাগাতে পারেন। এই টুলের মাধ্যমে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার উদ্বিগ্নতার কারণ জানতে পারবে এবং সেই ব্যক্তিটিকে মানসিক সাহায্য পাঠাবে। সাহায্যের মধ্যে থাকবে বন্ধুর কাছে বার্তা, হেল্পলাইনে যোগাযোগ, এবং মানসিক বিপর্যয়ের সময়ে নিজেকে ধরে রাখার জন্য পরামর্শ।

আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্রাইসিস টেক্সট লাইনের সঙ্গে এক হয়ে ফেসবুক এই উদ্যোগটি নিয়েছে। ফেসবুক আশা করছে, এর মাধ্যমে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকখানি কমিয়ে না যাবে।