ফেইসবুকে ভুয়া খবর বা গুজবে কান দিয়ে নানা জায়গায় নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। দিন দিন এ সমস্যা যেন বেড়েই চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কেন্দ্রীয় সংবাদগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বাংলাদেশে রামু, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ বেশ কয়েকটি সাম্প্রদায়িক হামলার পিছনে কাজ করেছে ফেসবুকের গুজব। ভারতেও মুসলিমদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ফেইসবুক গুজবে কান দিয়ে।

facebook and mozilla firefox

ভুয়া সংবাদ পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে ইন্টারনেটের সংবাদের উপর আস্থা হারাতে শুরু করেছে পাঠক। এই সমস্যার সমাধান করতে যেয়ে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এবার তাদের সেবার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে তাদের সাথে যুক্ত করতে যাচ্ছে শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

মার্চ মাসে ফেসবুক ও গুগলকে ভয়াবহ দুঃসংবাদ শুনিয়েছেন বিজ্ঞাপনী সংস্থা ডব্লিউপিপি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মার্টিন সোরেল। তিনি বলেছেন, ভুয়া সংবাদ ঠেকাতে না পারলে সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্টগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে বিজ্ঞাপনদাতারা।

এই হুমকির পরপরই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো একত্রিত হয়ে গঠন করেছে একটি ফান্ড। 'নিউজ ইনটিগ্রিটি ইনিশিয়েটিভ' নামে ওই তহবিলে এখন পর্যন্ত জমা পড়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এই তহবিলে অনুদান দিয়েছে ফেসবুক, মজিলা, দ্য সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক (সিইউএনওয়াই), ক্রেইগ নিউমার্ক ফিলানথ্রোপিক ফান্ড, ফোর্ড ফাউন্ডেশন, ডেমোক্রেসি ফান্ড, জন এস অ্যান্ড জেমস এল নাইট ফাউন্ডেশন, টাউ ফাউন্ডেশন, অ্যাপ নেক্সাস এবং বেটাওয়ার্কসহ মোট ২৫টি প্রতিষ্ঠান।

পাঠক যে সংবাদটি পড়ে বা শেয়ার করে সেটির সঠিকতা যাচাইয়ে সহায়তা করতে টুলস তৈরি করতে এই ফান্ড থেকে অর্থ বরাদ্ধ দেয়া হবে। টুলস তৈরির কাজ করা হবে সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব জার্নালিজমে। এ বিষয়ে ফেসবুক নিউজ পার্টনারশিপের প্রধান ক্যাম্পবেল ব্রাইন বলেন, ভুল তথ্য ও মিথ্যা প্রচারণা রোধকরা এবং ইন্টারনেটে নতুন পদ্ধতিতে জনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে চলতি আলোচনাগুলো জনগনের কাছে পৌঁছে দেয়া। ইন্টারনেটে সঠিক তথ্য সরবারহ এবং মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দূর করাই হবে এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

প্রসঙ্গত, এর আগেও একক উদ্যেগে ফেইসবুক ভুয়া সংবাদ রোধে পদক্ষেপ নিয়েছিল। তবে তা খুব বেশি কাজে আসে নি। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে বিভিন্ন সেবায় আপডেট দেয় এবং তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তৃতীয়পক্ষকে জড়িত করে ফেসবুক। আর ২০১৭ সালের শুরু দিকে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে 'ফেসবুক জার্নালিজম প্রজেক্ট' নামে নতুন একটি প্রকল্প চালু হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ডালাসে একটি রোডশো’র আয়োজন করে প্রায় ৭০টি পত্রিকা এবং টিভি রিপোর্টারদের সঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কার্যালয়ের মতবিনিময় হয়।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.