মাত্র ২৯ মিনিটে রকেটে করে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক, এমনকি এক ঘণ্টারও কম সময়ে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে স্পেসএক্স নামের একটি কোম্পানি। আর এই পরিকল্পনা ২০২৪ সালের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলন মাস্ক।

spaceex art work

অস্ট্রেলিয়ার এডিলেডে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রনমিক্যাল কংগ্রেসের সম্মেলনে ইলন মাস্ক এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এসময় তিনি লন্ডন থেকে রকেটে নিউইয়র্কে যাওয়ার একটি প্রমোশনাল ভিডিও দেখান।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা বর্ণনা করতে গিয়ে ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘রকেটে করে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য যে কোন প্রান্তে যেতে এক ঘন্টারও কম সময় লাগবে এবং এতে ইকোনমি ক্লাসের ফ্লাইটের টিকিটের সমানই খরচ হবে।’

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে রকেট ঘুরে বেড়াতে না পারার কোন কারণ নেই।’

২০২৪ সাল নাগাদ মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করে তিনি জানান, স্পেসএক্স এর জন্যে মঙ্গল অভিযানের উপযোগী স্পেসশীপ তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছেন।

গত বছর ইলন মাস্ক প্রথমবারের মতো মঙ্গল অভিযানের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যাওয়ার জন্য তিনি যে মহাকাশযান তৈরির চেষ্টা করছেন, সেটির নাম দেয়া হয়েছে ‘বিএফআর’। এটি একশো ছয় মিটার উঁচু এবং নয় মিটার প্রশস্ত।

intercontinental rocket plan

তিনি বলেন, ’শুধু মঙ্গলগ্রহ অভিযানের জন্যই বিএফআর ব্যবহৃত হবে না। মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মালামাল পরিবহন, এমনকি পৃথিবীর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মানুষ পরিবহনের কাজেও এটি ব্যবহার করা হবে।’

তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে দূর পাল্লার ভ্রমণ যাকে বলে, সেটি তখন হবে মাত্র আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার ব্যাপার। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্কে যাওয়া যাবে মাত্র আধ ঘন্টায়।

ইলন মাস্ক স্পেসএক্স কোম্পানি প্রধান নির্বাহী ছাড়াও ইলেকট্রিক কার কোম্পানি টেসলার প্রতিষ্ঠাতা। বিপুল ক্ষমতার ইলেকট্রিক ব্যাটারি উদ্ভাবনে চেষ্টারত প্রতিষ্ঠান ’সোলার সিটি’র প্রধানও তিনি।

ভিডিও:

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.