নিজেদের শ্রেষ্ঠ হওয়ার আরো একটা প্রমাণ রাখলো গুগল। এতোদিন পর্যন্ত জিমেইল, গুগল প্লাস, গুগল ক্রোমসহ আরো বহু পণ্যের মূল প্রতিষ্ঠান ছিলো গুগল। সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজের প্রতিষ্ঠিত গুগল চলছিলো দারুণ গতিতে। সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে ভার্চুয়াল ব্যবসা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি যতোই দিন গেছে, ততোই উঠেছে উন্নতির শিখরে। এবার তারা তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি আনলো। গুগল এখন আর মূল প্রতিষ্ঠান নয়। গুগল এখন ‘অ্যালফাবেট’ নামের নতুন প্রতিষ্ঠানের অঙ্গ। নতুন দিনের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো গুগল।

এতো দিন পর্যন্ত গুগলের প্রধান দুই দায়িত্বে ছিলেন সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ। কিন্তু এখন তা নয়। এখন থেকে অ্যালফাবেট-এর দায়িত্ব সামলাবেন তারা। গুগলের সিইও’র দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ভারতীয় প্রযুক্তি-ব্যক্তিত্ব সুন্দর পিশাইকে। এতোদিন গুগলের পণ্য বিষয়ক জৈষ্ঠ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার অধীনেই তৈরি হয়েছে জিমেইল, গুগলক্রোমের মতো পণ্য।

১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গুগল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এতো বড় সাংগঠিক কোনো পরিবর্তন আনেনি। ১৭ বছর পর বদলে গেলো সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজের পরিকল্পনা। ছড়িয়ে- ছিটিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক সূতায় বেধে রেখে পরিচালিত করার জন্যই মূলত তারা তৈরি করলেন অ্যালফাবেট নামের নতুন প্রতিষ্ঠানকে। গুগল এখন থেকে অ্যালফাবেটের প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। 

এ প্রসঙ্গে গুগলের দুই প্রধান প্রতিষ্ঠাতা জানান, একেক ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে একেক ধরনের যোগ্যতার লোক দরকার। এ বিষয়গুলো চিন্তা করেই তারা নতুন ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান করলেন। সাংগঠনিক পরিবর্তন অবশ্য গ্রাহক পর্যায়ে কোনো পরিবর্তন আনবে না। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গুগলের বিভিন্ন পণ্যের ব্যাবহারকারীরা আগের মতোই সব সেবা পাবেন। 

অনেক দিন ধরেই গুগলের প্রধান দুই কর্মকর্তার মুখে শোনা যাচ্ছিলো গুগলকে তারা বড় করতে চান। সম্প্রতি তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো ঠিক কতোটা বড় করা সম্ভব গুগলকে? জবাবে তারা জিজ্ঞেস করেছেন মাইক্রোসটে কতোজন ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেন? জবাবে জানানো হয় ২৫ হাজার। এটা শুনে তারা বলেন, গুগলে কাজ করবে ১০ লাখ ইঞ্জিনিয়ার। সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ যে কতোটা উঁচুমানের চিন্তা- ভাবনা করেন, তা বোঝা গেছে ওই ঘটনা থেকেই।

এই দুজনের নতুন সৃষ্টির নাম অ্যালফাবেট- অর্থাৎ বর্ণমালা। গুগল কি তবে বর্ণমালায় যতোগুলো বর্ণ আছে, ঠিক ততোগুলো প্রতিষ্ঠান তৈরি করবে? প্রশ্নটা যৌক্তিক। কিন্তু ব্রিন বা পেজ কেউ এটার কোনো উত্তর দেননি। তারা উত্তর না দিলেও এটা তো সত্য যে, গুগল এগিয়ে যাচ্ছে আরো বহুদূরে চোখ রেখে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত ঠিক কোথায় গিয়ে ঠেকে গুগলের অগ্রযাত্রা।

 

আপনি আরো পড়তে পারেন

ঢাবিতে এশিয়ার বৃহত্তম ই-লাইব্রেরি

সরাসরি ভিডিও সম্প্রচারে নামলো ফেসবুক

এলো ভাইবারের নতুন সংস্করণ

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.