তরুণ প্রযুক্তিবিদরা দেশেই তৈরি করছে মোবাইল সিম

দেশের প্রযুক্তিদক্ষ তরুণরা দেশকে আরো একধাপ এগিয়ে নিলেন। দেশেই তারা তৈরি করছেন মোবাইল ফোনের সিম (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিফিকেশন মডিউল-এসআইএম)। ফলে এখন আর আগের মতো বিদেশ থেকে সিম আমদানি করতে হচ্ছে না।

অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তৈরি সিম এখন মোবাইল ফোন অপারেটররা ব্যবহার করছে। ফলে মোবাইল সিমের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন স্বনির্ভর বলা চলে।

এতে বলা হয়, সিম উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে এ দেশের তরুণরাই যুক্ত রয়েছে। শুরুর দিকে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসা হয়। তারা প্রশিক্ষণ দিয়ে তরুণদের উপযুক্ত করে তোলেন। পরে দেশীয় তরুণ ডেভেলপাররাই সিম তৈরি করতে থাকেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রযুক্তি বাইরের হলেও এসব সিম এখন দেশের তরুণরাই তৈরি করছে। আর একাধিক প্রতিষ্ঠান এতে যুক্ত হওয়ায় তৈরি হয়েছে প্রতিযোগিতাও। এর ফলে আগে বেশি দামে সিম বিক্রি হলেও এখন বেশ কম দামেই বিক্রি হচ্ছে।

দেশে বাম্বল বি, সিল্কওয়ে, আইসিটি, ইস্ট কম পিস নামের প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল সিম তৈরি করছে। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত সিমই এখন ব্যবহার করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সিম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি না হলেও যারা আছে, তারা ভালো কাজ করছে। প্রতিযোগিতা সীমিত রাখতে এসব প্রতিষ্ঠান সাধারণত কোনো ধরনের তথ্য প্রকাশ করতে চায় না।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, কয়েক বছর আগে যখন বাংলাদেশে মোবাইল সিম তৈরি শুরু হয়, তখন একটি সিম বিক্রি হতো ৬৮ টাকায়। আর এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৬ টাকায়। এটা সম্ভব হয়েছে দেশে উৎপাদিত সিম ব্যবহারের কারণে।

গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, গ্রামীণফোন এখন দেশ থেকেই মোবাইল সিম কেনে। স্থানীয়ভাবে তৈরি সিমের মান ভালো।

বাংলালিংকের হেড অব রেগুলেটরি ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, বাংলালিংকও বাংলাদেশে উৎপাদিত সিম কিনে থাকে। দেশ থেকে সিম কিনলে আমদানি শুল্ক লাগে না। ফলে সিমের পেছনে খরচ কম হয়, বিক্রি করা যায় কম দামে।