দেশের ই-কমার্স খাতে বিদেশি বিনিয়োগে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান উদ্যোক্তারা। কোন কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা ৪৯ শতাংশে বেঁধে দেয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।

ww

সম্প্রতি মার্কিন কোম্পানি ওয়ালমার্ট কর্তৃক ভারতীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ফ্লিপকার্টের ৭৭ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়ার প্রেক্ষিতে তাদের এ দাবি আরও জোরদার হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এখনই কোন পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের ঝুকির মধ্যে পড়তে পারে দেশীয় উদ্যোক্তারা।

এ বিষয়ে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর সহ সভাপতি রেজওয়ানুল হক জামীর মতে, বাংলাদেশের জাতীয় বিনিয়োগ নীতিমালা অনুসারে বিদেশি কোন কোম্পানি ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে। এ নীতিমালা যদি দ্রুত পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে বাংলাদেশেও ভারতের মত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

তিনি বলেন, ভারত এখন পর্যন্ত তাদের নীতিমালা ঠিক করতে না পারায়, ই-কমার্স কোম্পানি ফ্লিপকার্টের ৭৭ শতাংশ শেয়ার ওয়ালমার্ট কিনে নেয়ার সুযোগ পেয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ভারতের দেশীয় কোম্পানিগুলো হারিয়ে যাবে। তখন যদি বলা হয়, ভারতের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স কোম্পানি কোনটি? বলতে হবে ওয়ালমার্ট, অ্যামাজন, আলিবাবা। ফ্লিপকার্ট বা স্নাপডিলের মত দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পিছিয়ে পড়বে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের ই-কমার্স সাইটগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। গত মে মাসে বাংলাদেশি কোম্পানি দারাজকে কিনে নিয়েছে আলিবাবা। এছাড়া দেশের বৃহত্তম মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশের ২০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে এই চীনা জায়ান্ট।

তবে বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা করছেন না দেশীয় উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়িক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হোক।

উদাহরণ টেনে রেজওয়ানুল হক জামী বলেন, ওষুধ শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ না আসলে তা এত বড় রপ্তানি শিল্পে পরিণত হত না। সরকার ওষুধ শিল্পে গত ২০ বছর সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া জাহাজ শিল্পেও দিয়েছে বড় ধরনের সহায়তা। বর্তমানে দুটিই দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পে পরিণত হয়েছে।

জামী বলেন, ১৯৯৬ সালের কম্পিটিশন আইনে বলা আছে, সবার জন্য সুস্থ বাজার প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার আমাদের জন্য সেই আইনের আলোকে নির্দেশনা প্রদান করবে এটাই আমাদের আশা।

বিদেশি বিনিয়োগের সুবিধার দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমরা বড় কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক নীতিমালা সম্পর্কে জানতে পারি। ফলে আমরা কখনোই বিদেশি বিনিয়োগের বিপক্ষে নই। দেশে ব্যক্তি মালিকানাধীন কোন বিদেশি বিনিয়োগ না আসুক, আমরা চাই হোল্ডিং বা যৌথ মালিকানার ভিত্তিতে বিদেশি বিনিয়োগ।

এসব কারণেই সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান উদ্যোক্তারা। তারা মনে করেন, বাংলাদেশের ই-কমার্স ব্যবসা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। নিয়মমাফিক বিদেশি বিনিয়োগ ও সরকারি প্রণোদনা এই সম্ভাবনাময় খাতকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

 

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.