তথ্য পাচারে জড়িত অ্যামাজনের কর্মীরা

ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের একাধিক কর্মী গোপন তথ্য পাচারের সাথে যুক্ত। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে বিষয়টি প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওয়েবসাইটের বিভিন্ন তথ্য তারা প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসছিলেন। রবিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক সংবাদে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদে বলা হয়েছে, প্রতিটি তথ্য পাচারের ঘটনায় ৮০ ডলার থেকে ২,০০০ ডলার পর্যন্ত ঘুষের লেনদেন হয়েছে। বিশেষত অ্যামাজনের চীন শাখার কর্মীরা এই তথ্য পাচারের সাথে জড়িত। টাকার বিনিময়ে তারা বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ, ই-মেইলের ঠিকান, অ্যাকাউন্টের তথ্যসহ বিভিন্ন তথ্য পাচার করেছেন।

অ্যামাজনের নিয়ম অনুসারে তাদের কর্মীরা তৃতীয় কোন পক্ষের কাছে প্রতিষ্ঠানের কোন তথ্য সরবরাহ করতে পারেন না। 

তথ্য পাচারের জন্য চীনকে বেছে নেয়ার পেছনে বিশ্লেষকরা প্রধানত দুটি কারণ চিহ্নিত করেছেন- প্রথমত, অ্যামাজনের চীনা শাখার গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেশি, ফলে এখান থেকে তৃতীয় পক্ষ সহজে অধিক তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। দ্বিতীয়ত, সেখানকার কর্মচারীদের বেতন তুলনামূলক অনেক কম- যা তাদের তথ্য পাচারের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনে উৎসাহিত করেছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, তথ্য পাচারের এ কাজে বিভিন্ন অ্যাপের ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উইচ্যাটের মাধ্যমে তারা তৃতীয় পক্ষের সাথে মধ্যস্ততা করেছেন। মাঝে মাঝে তারা প্যাকেজ অফার গ্রহণ করেছেন। যেমন, ৫টি রিভিউ মুছে দেয়ার প্যাকেজ। এজন্য প্রতিটি রিভিউ বাবদ নেয়া হয়েছে ৩০০ ডলার করে।

কর্মীদের এমন নৈতিক স্খলনে চিন্তিত অ্যামাজনের কর্মকর্তারা। তদন্তে বেশ কিছু ব্রিটিশ নাগরিকের নামও এসেছে- যাদেরকে উচ্চপদস্থ পদে চীনে পাঠানো হয়েছিলো।

অ্যামাজনের এক মুখপাত্র বলেন, 'আমরা আমাদের কর্মীদের সর্বোচ্চ নৈতিক মান যাচাইয়ের চেষ্টা করি। কেউ যদি আমাদের নিয়মানুবর্তিতা, অভ্যন্তরীণ পরিবেশ বা প্রাতিষ্ঠানিক আইন লঙ্ঘন করে তবে তাদেরকে আমরা শাস্তির মুখোমুখি করে থাকি। এ বিষয়ে আমরা এখন আরও সতর্ক থাকব।’

তবে পাচারের সাথে জড়িতদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা এখনো জানায়নি অ্যামাজন।