লিঙ্গবৈষম্যে কাঠগড়ায় ফেসবুক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একদল চাকরিপ্রত্যাশী মামলাও করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, ফেসবুকে পোস্ট করা চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শুধুমাত্র পুরুষ ব্যবহারকারীরা দেখতে পেয়েছেন, নারীদের কাছে তা পৌঁছায়নি।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ানের এক সংবাদে জানানো হয়, মামলাটি করেছেন কমিউনিকেশনস ওয়ার্কার্স অব আমেরিকা নামের কর্মী ইউনিয়ন এবং তিনজন নারী চাকরিপ্রত্যাশী।

লিন্ডা ব্র্যাডলি নামের এক ভুক্তোভোগী বলেন, ‘আমি শুনেছি, আগেকার দিনের চাকরির বিজ্ঞাপনে বড় বড় অক্ষরে পুরুষ কিংবা নারীকর্মী চাই উল্লেখ করা থাকত। আমি খুবই হতবাক হয়েছি যে, এখনো সেই বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে। পার্থক্য এই যে, আগে এসব বিজ্ঞাপন পত্রিকায় দেয়া হতো, এখন তা ফেসবুকে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র নারী হওয়ার অপরাধে আমাকে একটি চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হবে, এমনটি হওয়া উচিত নয়।’

অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপনে বয়স ও লিঙ্গ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার সুযোগ পান বিজ্ঞপ্তিদাতারা। এমনকি এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে তা থেকে আয়ও করছে ফেসবুক।’

সবমিলিয়ে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেয়ার ফিচার যুক্ত করার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেসবুক। জাতীয়তা, বয়স ও লিঙ্গবৈষম্য ইত্যাদি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে প্রতিষ্ঠানটি।

অভিযোগের জবাবে ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘ফেসবুকে লিঙ্গবৈষম্যের কোনো স্থান নেই। এখানে এটি নিষিদ্ধ। সব সময়ে আমরা ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার কমিয়ে আনার চেষ্ট করছি। আমরা অভিযোগটি যাচাই করে দেখছি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোন প্রকারের লিঙ্গবৈষম্য করা অবৈধ।