হঠাৎ করেই মোবাইল ফোনে কথা বলার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন গ্রাহকরা। গত দুই মাস আগে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো কল রেট বাড়ানোয় সামগ্রিকভাবে এ প্রভাব পড়েছে। তবে গ্রাহকদের কথা বলার পরিমাণ কমলেও অপারেটরদের আয় বেড়েছে! কলের হার পর্যালোচনা করে এমন তথ্যই পেয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

 smart phone caller

কল রেট বাড়ানোর আগের দুই সপ্তাহ ও পরের দুই সপ্তাহের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা গেছে, আগে সর্বনিম্ন কল রেট ছিলো ২৫ পয়সা মিনিট। তখন দিনে সব অপারেটরের কল গড়ে ৭৯ কোটি ৬০ লাখ মিনিট হতো। কিন্তু গত ১৪ আগস্ট সব অপারেটরের কল রেট বাড়িয়ে ৪৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। এরপর গড় কলের পরিমাণ ৭৪ কোটি ৮০ লাখ মিনিটে নেমে এসেছে। ফলে কলের পরিমাণ ৬ শতাংশের বেশি কমে গেছে।

বিটিআরসি’র প্রতিবেদন বলছে, অননেট বা নিজ অপারেটরে কল করার প্রবণতা কমেছে। আগে দিনে নিজ অপারেটরে কলের পরিমাণ ৬৩ কোটি ৮০ লাখ মিনিট হলেও তা এখন ১০ শতাংশ কমে ৫৬ কোটি ৮০ লাখ মিনিটে নেমে এসেছে।

তবে অফনেট বা অন্য অপারেটরে কল করার পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। আগে দিনে অন্য অপারেটরে কলের পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি মিনিট। তা প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধারণা করা হচ্ছে, কল রেট বাড়ার কারণে গ্রাহকরা খরচ বাঁচাতে কথা বলা কমিয়ে দিয়েছেন। হয়তো আগের খরচের সাথে সমন্বয় করতেই এমনটা করা হয়েছে। এ ঘটনা নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি বড় বার্তা।

কলরেট বাড়ানোর কারণে মোবাইল অপারেটদের আয় বেড়েছে- এ কথা স্বীকার করে বিটিআরসি’র সহকারী পরিচালক এস খান বলেন, ‘বর্তমান কল রেট অনুযায়ী আগের কলের হার ঠিক থাকলে প্রতি মাসে অপারেটদের আয় ৩৮৭ কোটি টাকা বাড়ার কথা। তবে কথা বলার পরিমাণ কিছুটা কমে যাওয়ায় আয় বৃদ্ধির হিসাব রদবদল হতে পারে।’

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.