এটিএম কার্ড হ্যাকিং: জেনে নিন হ্যাকারদের কিছু কৌশল

প্রযুক্তি যত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে তত দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফায়দা কাজে লাগানোর মানুষগুলো। আধুনিক এই চোরদের ঠিক চোর না বলে প্রযুক্তির স্মার্ট চোর বলাই বেশি উপযুক্ত হবে। আর এরই জের ধরে হ্যাকিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি থেকে শুরু করে নিত্য নৈমিত্তিক এটিএম কার্ডের তথ্য চুরির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটছে। গত বছর ভারতে ত্রিশ লাখ এটিএম কার্ড হ্যাকিং এর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি উচ্চস্তরের ব্যাংকেও প্রভাব ফেলেছে যা সত্যিই আতঙ্কজনক।

মানতেই হবে আধুনিক এই চোর বাবাজীদের একের পর এক নতুন চুরির পদ্ধতিতে যথেষ্ট বুদ্ধির পরিচয় মিলছে। তাই তাদের কাছে থেকে বাঁচতে হলে আমাদের মত সাধারণ ব্যবহারকারীদেরও স্মার্ট হতে হবে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক এটিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি কি সাবধানতা অবলম্বন জরুরি।

এটিএম কার্ডের রিডার স্লটে কার্ড স্কিমার নামক একটি ডিভাইস বসিয়ে ডেবিট কার্ডের সকল তথ্য চুরি করে থাকে এ সকল স্মার্ট চোররা। এছাড়াও বেশি বড় আকারের কার্ড স্লট থেকেও এই ধরণের কাজ করা হয়ে থাকে। তাই কার্ডটি স্লটে প্রবেশ করানোর সময় খেয়াল রাখা জরুরি। 

অনেক সময় এই চক্রটি স্লটের ভিতরে এমন একটি ডিভাইস ইন্সটল করে যাতে ডেবিট কার্ডটি এর ভেতরে আটকে যায়। আসলে এর মাধ্যমে সকল তথ্য পাচার হয়ে যায়। অনেক সময় আবার ভুল কভার মেশিনের সাহায্যে গ্রাহকের সকল তথ্য চুরি করা হয়। আর এভাবেই উধাও হয়ে যায় লক্ষ লক্ষ টাকা।

প্রতারনার মাধ্যমে আরো একটি কৌশল হলো আসল কী প্যাডের উপর ভুয়া কি প্যাডের ব্যবহার। তাই কী প্যাড ব্যবহারের সময় বেশি লুজ মনে হলে সতর্ক থাকুন। মেশিন বা ছাদের দিকে অতি ক্ষুদ্রাকার ক্যামেরার মাধ্যমেও স্মার্ট চুরির রাস্তা খোলা থাকে। তাই এটিএমে টাকা তোলার সময় অবশ্যই চোখ কান খোলা রাখা উচিৎ। 

বেখেয়ালে আপনার গোপনীয় তথ্য যেন বেহাত হয়ে না যায় সেদিকে সতর্কতা অবলম্বন করুন আজই।