হারতেই হলো বাংলাদেশকে

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। মেলবোর্নের কোয়ার্টার ফাইনাল ১০৯ রানে জিতে গেছে ভারত। যতোটা না ভারত জিতে গেছে, তার চেয়ে বেশি তাদের জিতিয়ে দেওয়া হয়েছ। কারণ এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ কিছু 'ভুল' সিদ্ধান্তের কারণেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ৩০২ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ১৩৭ রান করেন রহিত শর্মা। অথচ এই রান তিনি করতে পারতেন না। ৯০ রানে থাকা অবস্থায় তাকে আউট দেননি আম্পায়ার। রুবেলের বলটিকে 'নো' ডাকেন ইংলিশ আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড। তাকে নো বলের ইঙ্গিত দেন পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দার।

ওই আউটটি দেওয়া হলে অন্তত ৪৭ রান কম হতো ভারতের। এ ছাড়া সুরেশ রায়নার নিশ্চিত এলবিডব্লিউ-ও দেননি টিভি আম্পয়াররা। এই ম্যাচে স্পষ্টতই বোঝা গেছে যে, ম্যাচে আম্পয়াররা প্রভাবিত।

বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নেন তাসকিন। একটি করে উইকেট নেন মাশরাফি, রুবেল ও সাকিব।

পরে ৩০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা সুবিধার করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই ম্যাচেও ব্যর্থ ছিলেন ইমরুল কায়েস। তার আগেই অবশ্য আউট হয়ে যান তামিম। ২৫ বলে চারটি চারে ২৫ রান করে ফেলেছিলেন তিনি। ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ২০০৭ সাতের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার। কিন্তু হয়নি। কিপারের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। পরে সৌম্য নামার পর রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ইমরুল।

এরপর তৃতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়ে তুলছিলেন মাহমুদুল্লাহ ও সৌম্য। তখনই আবার আম্পায়ারদের নজিরবিহীন 'ক্রাইমের' শিকার হয় বাংলাদেশ। হুক করে বাউন্ডারি মারতে গিয়েছিলেন রিয়াদ। উড়ে যাওয়া বল হাতে নিয়ে সীমানা দড়িতে পা দিয়ে ফেলেন ধাওয়ান। দুইবার বল শূন্যে ভাসিয়ে ক্যাচ ধরেন তিনি। কিন্তু সীমানা দড়িতে তার পা ছোঁয়াতে বলটি ছয় হওয়ার কথা। তাতে সায় দেননি টিভি আম্পায়াররা। আউট দেন রিয়াদকে।

খেলার 'স্পিরিট' চূড়ান্তভাবে নষ্ট হয়ে যায় সেখানেই। এরপর বাংলাদেশের ফিরে আসার সুযোগ ছিলো না। গতি হারিয়ে ১৯৩ রানের মধ্যেই বাংলাদেশকে গুটিয়ে যেতে বাধ্য করেন আম্পয়াররা। শেষ 'লজ্জার জয়' নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। বিশ্বকাপের মতো আসরে আম্পায়ারদের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব ইতিহাসে লেখা হয়ে গেলো। লেখা হয়ে গেলো জাতী হিসেবে ভারতের মানসিকতাও।

বিশ্বকাপে খেলোয়াড়রা কেবল খেলেই না, তারা দেশের প্রতিনিধিত্বও করে। সে হিসেবে ধাওয়ান চরম অখেলোযাড়সূলভ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তার দেশকেও বিশ্ব দরবার ছোট করে দিয়েছেন। এই ম্যাচের স্কোরকার্ডে বাংলাদেশের হার লেখা থাকবে, কিন্তু আসল হারটা হয়েছে ভারতেরই। তাদের ক্রিকেটে যে খেলার চেয়ে বেশি থাকে আম্পায়ারদের, আইসিসির 'হাত' সেটাই প্রমাণ করেছে তারা। 

আপনি আরো পড়তে পারেন

নো বল ছিলো না, বলছেন সাবেকরা

আম্পায়াদের 'ক্রাইমের' শিকার বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে খেলবেন আজমল!