জিম্বাবুয়ের রেনেসাঁয় শামিল হচ্ছেন টেলর-কাইল

শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে পুনর্জন্মের স্বপ্ন দেখছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। নতুন রেনেসাঁর আশায় সব গুছিয়ে শুরু করার চেষ্টা করছে তারা। শ্রীলঙ্কায় ক্রিকেট দলের সাফল্য প্রভাব ফেলেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডেও। যে প্রভাব তাদের মনে চিন্তা এনেছে ব্রেন্ডন টেলর ও কাইল জারভিসে মতো ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে ফিরিয়ে আনার।

২০১৯ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের সরাসরি খেলতে না পারা নিশ্চিত হয়ে গেছে। কিন্তু সুযোগটা এখনো আছে। কোয়ালিফায়ার খেলে তাদের সুযোগ পেতে হবে বিশ্বকাপে। সেই সুযোগটা লুফে নেয়ার জন্য নিজেদের ঘরের মাঠকেই সামনে পাচ্ছেন গ্রায়েম ক্রেমাররা।

আরব আমিরাত এককভাবে এবং আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড যৌথভাবে বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ড আয়োজনের আবেদন করেছিলো। আবেদন করেছিলো জিম্বাবুয়েও। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল বেছে নেয় জিম্বাবুয়েকেই। যদিও সব কিছু এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে হয়ে যাবে বলেই আশা করছে জিম্বাবুয়ে। আইসিসিও চাইছে জিম্বাবুয়েই বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার রাউন্ড আয়োজন করুক।

আগামী মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়ার কথা আইসিসির প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহরের জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়ার কথা। এই সফরেই সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে।

ঘরের মাঠের কোয়ালিফাইং রাউন্ড মিস করতে চায় না জিম্বাবুয়ে। বরং এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করবে তারা। এই চেষ্টার অংশ হিসেবেই ব্রেন্ডন টেলর ও কাইল জারভিসকে ফেরানোর চিন্তা করছে ক্রিকেট জিম্বাবুয়ে।

এ দুজনই কলপ্যাক চুক্তিতে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দলের হয়ে খেলছেন। আটটি টেস্ট এবং ২৭টি ওয়ানডে খেলা ক্রিস জারভিস ২০১৩ সালে কলপ্যাক চুক্তিতে ল্যাঙ্কাশায়ারে যোগ দেন। একই রকম চুক্তিতে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর নটিংহ্যামশায়ারে যান ব্রেন্ডন টেলর।

এই দুই ক্রিকেটারই জিম্বাবুয়ে দলের প্রধানতম শক্তি ছিলেন। কিন্তু জিম্বাবুয়েতে ক্রিকেট যেভাবে চলছিলো, তাতে তারা খুশি ছিলেন না। এ কারণেই তারা জিম্বাবুয়ে ছেড়ে কাউন্টি ক্রিকেটে স্থায়ীভাবে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু টেভেঙ্গা মুকুলানি চেয়ারম্যান হয়ে আসার পর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট নতুন স্বপ্ন দেখছে। যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিককে দেয়া হয় প্রধান কোচের দায়িত্ব। তার সঙ্গে রাখা হয় তাতেন্দা তাইবুকেও।

জিম্বাবুয়ের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে দুই ক্রিকেটারকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তারা দুজনই অন্তত দুই বছরের জন্য চুক্তির শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। জিম্বাবুয়ে সাধারণত ক্রিকেটারদের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করে। পারফর্ম্যান্সের ভিত্তিতে বছর বছর চুক্তি নবায়ন বা বাতিল করা হয়। কিন্তু টেলর ও জারভিস চাইছেন তাদের সঙ্গে অন্তত দুই বছরের চুক্তি করলেই তারা ফিরতে পারেন।

এ দিকে কলপ্যাক চুক্তি ছেড়ে এলে আর সেটা ফিরে পাবেন না এ দুজন। ফলে আর্থিকের কথা চিন্তা করেই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের কাছে অন্তত দুই বছরের চুক্তির শর্ত দিয়েছেন তারা। জিম্বাবুয়ে যদি তাদের দাবি মেনে নয়, তবেই হয়তো আবার জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাবে টেলর ও জারভিসকে। তারা ফিরলে জিম্বাবুয়ের দিনবদলের গানও নিশ্চয় আরো প্রাণবন্ত সুর পাবে।