ব্যাটসম্যানদের জীবনে সুখ নেই, উপলব্ধি সাব্বিরের

আপনি একজন ব্যাটসম্যান মানেই আপনার জীবনে সুখের অভাব আছে। এমন উপলব্ধি জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানের। তার মতে, ব্যাটসম্যানরা সব সময় রানের জন্য ক্ষুধার্ত থাকেন। যতোই রানই করুক না কেনো, একজন ব্যাটসম্যান কখনো তৃপ্ত হন না। বরং ইনিংসে বড় থেকে বড় করে যেতে চান সব সময়।

সাব্বিরের ‘সুখহীন’ জীবনটা আপাতত দীর্ঘই। জাতীয় দলের হয়ে তিন ফরম্যাটে ৮০টি ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনো তিন অঙ্কের দেখা পাননি তিনি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ সামনে রেখে চলা প্রস্তুতি পর্বে জাতীয় দলের দুই ভাগ হয়ে খেলা ম্যাচেও তার ব্যাটে নেই রানের দেখা।

মুশফিক-সাব্বিরদের অনুশীলন পর্ব আপাতত চলছে চট্টগ্রামে। সেখানেই আজ সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাব্বির বলেন, ‘ব্যাটসম্যানরা সব সময় রান করতে চায়। তাই তারা কখনো সুখী হতে পারে না। যতোই রান করুক না কেনো, ব্যাটসম্যানদের মনে হয় যদি আরো বেশি রান করতে পারতাম!’

এতো রান ক্ষুধা যার, সেই সাব্বির কেনো এখনো একটাও সেঞ্চুরি পেলেন না, তার সমস্যা কোথায়; বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে কান পাতলেই শোনা যায় এমন কথা। নিজের সমস্যা নিয়ে সাব্বিরের বক্তব্য, ‘ব্যাক লিফট নিয়ে কাজ করেছি। সামনে পিছনে থ্রো-ডাউন নিয়ে কাজ করছি। থ্রো-ডাউনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর ধৈর্য ধরতে পারাটাও জরুরি।’

এখন ধৈর্যের কথা বললেও ব্যাটসম্যান সাব্বিরের অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট কিন্তু আক্রমণাত্মক খেলা। জাতীয় দলে এসে বা আসার আগে, তার স্মরণীয় সবই ওই আক্রমণাত্মক মেজাজের ফল। কিন্তু সেই জায়গাতে এখন নিজেকে নতুন গড়তে চাইছেন এই ব্যাটসম্যান।

তিনি বলেন, ‘সব সময় আক্রমণ করা যাবে না। পরিস্থিতি বুঝে, বল খেয়াল করে খেলতে হবে। এ সব বুঝে শুনেই এগোতে হবে।’

সাব্বির এখন পর্যন্ত মোট ছয়টি টেস্ট খেলেছেন। তাতে তার সর্বোচ্চ রান ৬৪। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি। টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা সাব্বির ওয়ানডেরও চেনা মুখ। কিন্তু তার কাছে যতোটা প্রত্যাশা, তা তিনি মেটাতে পেরেছেন কমই।

এ দিকে, চট্টগ্রামের অনুশীলন পর্ব শেষ করে বাংলাদেশ দল দুই একদিনের মধ্যেই ঢাকা ফিরবে। দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া বিমানে ১৮ তারিখ। ২৭ আগস্ট থেকে ঢাকায় হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এরপর চট্টগ্রামে চার সেপ্টেম্বর থেকে হবে দ্বিতীয় ম্যাচ।