তবুও স্বস্তি নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশ

পেট কামিন্স এবং জস হ্যাজলউড যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে লাঞ্চের আগে বাংলাদেশ হারাতে পারতো আরো বেশি উইকেট। শঙ্কা ছিলো তেমনই। তারপরও তামিম-সাকিবের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ লাঞ্চে যেতে পারলো স্বস্তি নিয়েই।

সৌম্য এবং তারপর ইমরুল ও সাব্বিরের উইকেট হারানোর পর ৮৬ রানের জুটি গড়েন সাকিব ও তামিম। তাদের জুটিতে ভর করে লাঞ্চ বিরতির সময় বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৯৬ রান, তিন উইকেট হারিয়ে। সাকিব ও তামিম এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের চতুর্থ ও পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ৫০তম টেস্ট খেলার মাইলফলক স্পর্শ করলেন। তাদের আগে ৫০টি করে টেস্ট খেলা তিন বাংলাদেশি হলেন মোহাম্মদ আশরাফুল, হাবিবুল বাশার ও মুশফিকুর রহিম।

লাঞ্চে যাওয়ার আগে সাকিব তুলে নেন ৪৮ রান। আর তামিম অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে। এর আগে, ব্যক্তিগত মাত্র ৮ রানে আউট হন সৌম্য সরকার। তার উইকেট দিয়েই ঝড় তোলা শুরু করেন প্যাট কামিন্স। তার বলে গালিতে একটা সহজ ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। ঠিক তার আগের দুই বলেও বড্ড নড়বড়ে দেখাচ্ছিলো তাকে।

তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েস টেকেন মাত্র ছয় বল। আবারও বাংলাদেশের টপ অর্ডারে আঘাত হানেন প্যাট কামিন্স। এবার অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে পাঞ্চ করতে যান ইমরুল। দৃষ্টিকটু শটটাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন তিনি। তার ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় সোজা উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েডের হাতে।

ঠিক এর পরের বলেই সাব্বির রহমানকে তুলে নেন কামিন্স। অনেকটা হাফ ভলি বলটা ডিফেন্স করতে গিয়েছিলেন সাব্বির। কিন্তু আউটসুইংয়ে বিভ্রান্ত হন তিনি। তার পায়ের নড়াচড়াও ছিলো খুব বেশি অদক্ষ। আরো একটা ক্যাচ যায় উইকেটরক্ষকের হাতে।

১০ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এই অবস্থায় ‘বাংলাদেশের ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জ’-এ কথাবার্তাকে স্রেফ উপহাসই মনে হচ্ছিলো। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেন তামিম ও সাকিব। ৪৯ টেস্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে ৫০ টেস্টে খেলতে নামা এ দুজন দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়ে খেলে দেন লাঞ্চ পর্যন্ত।