আজহারের ব্যাটে সিরিজ পাকিস্তানের

বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ হেরে শুরু হয় আজহার আলির অধিনায়কত্ব। কিন্তু দলের হার তার ব্যাটিংয়ে কোনো প্রভাব ফেলেনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালোই খেলেছেন তিনি। সেই ফর্ম এবার দেশের মাটিতেও দেখালেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তার ব্যাটে চড়েই ২৫০ রানের বেশি চেজ করে জিতেছে পাকিস্তান। গত চার বছরের মধ্যে এবার নিয়ে তৃতীয়বার ২৫০ বা এর চেয়ে বেশি চেজ করে জিতলো আজহারের দল। একই সাথে গত দুই বছরের মধ্যে মাত্র দ্বিতীয় সিরিজ জিতলো তারা।

জন্মভূমির বিপক্ষে সেকেন্দার রাজার অপরাজিত সেঞ্চুরি এবং চামু চিভাভার ৯৯ রানে ভর করে ২৬৯ রানের লক্ষ্য বেধে দেয় জিম্বাবুয়ে। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ফ্ল্যাট উইকেটে এই রান তেমন বড় লক্ষ্য ছিলো না পাকিস্তানের জন্য। কিন্তু রান চেজ করতে গিয়ে পাকিস্তানের যে সাম্প্রতিক ব্যর্থতার ইতিহাস, তার কারণে ভয় ছিলো পাকিস্তানি সমর্থকদের। জিম্বাবুয়ের কাছে হারলে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার ইচ্ছেটাও মোটামুটি মরে যেতো। কিন্তু আপাতত হতে দেননি আজহার। ধৈর্য্য ধরে দারুণ খেলে দলকে জিতিয়ছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বোলিং অ্যাটাকে এমন কেউ ছিলেন না, যে পাকিস্তানের পুরোনো ব্যর্থতার পথটা দেখিয়ে দিতে পারতেন আজহারকে। ছয় উইকেটের জয়ে পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নামা সব ব্যাটসম্যানই মোটামুটি রান পেয়েছেন। জিম্বাবুয়ে একবারও পরপর একাধিক উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে বিপদে ফেলতে পারেনি।

চেজ করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে ১৭০ রান করা ওপেনিং জুটি এদিন ভেঙে পড়ে সহজেই। মোহাম্মদ হাফিজ ইনজুরিতে পড়েন। সাথে দলকেও বিপদে ফেলে দেন তিনি। কিন্তু সেই বিপদ গাঢ় হয়নি আজহার ও সরফরাজের কারণে। নতুন বলের বোলারদের দারুণ দক্ষতায় সামলান তারা।

টানা দুই জয়ে সিরিজ জিতে যাওয়ার পর পাকিস্তানের সামনে এখন জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানি। দুই টি-টোয়েন্টির পর তিন ওয়ানডেতে জিম্ববুয়েকে হারাতে পারলে, পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাটা দারুণভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে সমর্থকদের কাছে। 

আপনি আরো পড়তে পারেন

ভারত সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাসী বিজয়

মাশরাফি: দল হিসেবে পারফর্ম করতে চাই

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কে খেলবে, বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান?