‘অন্য দলগুলোরও পাকিস্তান সফর করা উচিত’

সদ্যই শেষ হলো গত কয়েক বছরের মধ্যে পাকিস্তানের সবচেয়ে আলোচিত ক্রিকেট আসর। এই আসরে খেলেছে পাকিস্তান এবং বিশ্ব একাদশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি জিতেছে পাকিস্তান। এই সিরিজটি আয়োজন করতে দারুণ কষ্ট করতে হয়েছে পিসিবিকে। এই সিরিজে বিশ্ব একাদশে ছিলেন পল কলিংউড। সিরিজ শেষে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলছেন যে, অন্যান্য দেশগুলোরও উচিত পাকিস্তান সফরে যাওয়া।

পাকিস্তান সফর করে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ মাধ্যমকে পল কলিংউড বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ভিতরে ছিলাম। সব সময় আমাদের আশপাশে আর্ম ছিলো। এর মানে আমরা নিরাপদ ছিলাম। যদিও এ ধরনের নিরাপত্তা প্রতিদিনের জীবনের উপর প্রভাব ফেলে। তারপরও যদি এ রকম নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি থাকে, তাহলে আমি পাকিস্তান সফরে না যাওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’

পাকিস্তান সফর নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও সফরটি করবেন কিনা, তা নিয়ে নিজেই সন্দেহে ছিলেন কলিংউড। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি সফরটিতে যাবো কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। পাকিস্তানের ম্যাচ ফিক্সিং বা এ ধরনের কিছু কাজের জন্য ‘তাদেরকে সমর্থন করা যায় কি না’; এ রকম চিন্তা ছিলো আমার। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, এই সিরিজে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।”

বিশ্ব একাদশের সঙ্গে খেলার জন্য পাকিস্তানের যে স্কোয়াড ছিলো, তার বেশির ভাগ সদস্যেরই দেশের মাটিতে, চেনা দর্শক ও মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা ছিলো না। ফলে এই সিরিজটি তাদের জন্য ছিলো খেলার চেয়েও বেশি কিছু।

কলিংউড বলেন, ‘বৃহত্তর জায়গা থেকে দেখলে বোঝা যাবে যে, পাকিস্তানের তরুণ ক্রিকেটাররা এই সিরিজ দিয়েই ঘরের মাঠে নিজেদের দর্শকদের সামনে খেলেছে। এরপর তারা যখন আমাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে, এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় কিছু।’

ক্রিকেটখেলুড়ে দেশগুলোকে একটি পরিবারের মতো উল্লেখ করে কলিংউড বলেন, ‘আমরা একটা পরিবারের মতো। আমাদের উচিত, একে অপরকে সহায়তা করা। এই সিরিজের পরই পাকিস্তানের সামনে থেকে সব বিপদ সরে গেলো; ব্যাপারটা এমন নয়। তবে একটা বাধা তো ঠিকই দূর হলো।’

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে পাকিস্তান সফররত শ্রীলঙ্কা দলের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ছাড়া কোনো টেস্টখেলুড়ে দল পাকিস্তান সফরে যায়নি। বাধ্য হয়ে আরব আমিরাতকে ‘হোম’ বানিয়ে খেলতে হয়েছে পাকিস্তানকে।