চান্দিকার পদত্যাগ: মুখে কুলুপ মাশরাফি-সাকিবের

চান্দিকা হাথুরুসিংহের আকস্মিক পদত্যাগ নিয়ে তোলপাড় চলছে ক্রিকেটাঙ্গনে। শ্রীলঙ্কান এই কোচের সিদ্ধান্তে কেউ খুশি, কেউ নারাজ। কিন্তু বিস্ময়টা সবারই। কারণ পদত্যাগ করার মতো তেমন কিছুই ঘটেনি গত কয়েক মাসে। বিসিবি বরং তাকে দিয়ে আসছিলো সব রকম সুযোগ সুবিধা। এ দিকে, এ নিয়ে মুখ খুলছেন না জাতীয় দলের সীমিত ওভারে দুই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানও।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজ ম্যাচ ছিলো দুজনেরই। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেও এসেছিলেন দুজন। কিন্তু কেউই চান্দিকার এমন হঠাৎ সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলতে পারেননি কিছু্ই।

দিনের প্রথম ম্যাচে মাশরাফির রংপুর রাইডার্স খেলে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে। ম্যাচ শেষে মাশরাফিকে চান্দিকার অবসর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এখনো তো সব কিছু কেবল শোনা যাচ্ছে। মন্তব্য করা তাই কঠিন। বোর্ড থেকে তার সঙ্গে কথা বলা হবে হয়তো। এই মুহূর্তে তাই মন্তব্য করা খুব কঠিন। আমি আসলে কিছুই জানি না। একদিকে সে পদত্যাগ করেছে, অন্য দিকে বোর্ড বলছে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় এ বিষয়ে মন্তব্য করা কঠিন।’

চান্দিকা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর আর দলের সঙ্গে দেশে ফেরেননি। ওই সফরে দুই সপ্তাহ দলের সঙ্গে ছিলেন মাশরাফিও। দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার হয়েও কোচের পদত্যাগ করার মতো কোনো আভাস তিনি পাননি বলে জানান জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘আমি দুই সপ্তাহ সেখানে ছিলাম। এ সময়ে তার সঙ্গে অনেক ইতিবাচক কথা হয়েছে। সে সময় আমরা একটা ম্যাচ জেতার জন্য অনেক চেষ্টা করছিলাম। এ ধরনের কথাই হচ্ছিলো। সে পদত্যাগ করতে পারে বা এ ধরনের কিছু নিয়ে কোনো কথাই বলা হয়নি।’

মাশরাফি তবু এটুকু বলেছেন। কিন্তু সাকিব এ বিষয়ে বলতে চাননি কোনো কথাই। তার দল ঢাকা ডায়নামাইটস আজ খেলেছে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে এবং পেয়েছে বড় জয়। ম্যাচ শেষে কোচের পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাকিব বলেন, ‘আগে বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসুক। আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি। এখনো অনেক 'যদি ও কিন্তু' আছে। এগুলো আগে আনুষ্ঠানিক হোক। তারপর মন্তব্য দেখা যাবে।’

এ দিকে বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস আজ সংবাদ মাধ্যমে বলেন যে, যদি চান্দিকা শেষ পর্যন্ত তার সিদ্ধান্ত না বদলান এবং যদি বিসিবি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে, তবে উপমহাদেশের কোনো কোচই আনা হবে।

কোচ হিসেবে কেমন ব্যক্তিকে চান; এ বিষয়ক প্রশ্নেও কোনো কথা বলেননি মাশরাফি বা সাকিব। মাশরাফি এ বিষয়ে জানান যে, বোর্ড যদি কিছু জানতে চায়, তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করবেন তিনি। মাশরাফির এই কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে সাকিবের কণ্ঠেও। তিনি বলেছেন যে, বিষয়টি ‘স্পর্শকাতর’। তাই বোর্ডের ইশারা ছাড়া কিছুই বলতে রাজি হননি তিনি।