মাহেলার টোটকাতেই বদলে গেছেন আরিফুল

ঘরোয়া পর্যায়ে যারা নিয়মিত পারফর্ম করছেন, বিশেষ করে ব্যাট হাতে, তাদের মধ্যে আরিফুল হক অন্যতম। কিন্তু নিয়মিত পারফর্ম করলেও আরিফুল হকের ছন্দপতনও ছিলো প্রায় নিয়মিত। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) লিগে এসে ছন্দপতনেও ছেদ টেনেছেন তিনি। কিভাবে পারলেন?

১৯ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে খুলনা টাইটান্সকে জেতানোর পর ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল জানিয়েছেন তার বদলে যাওয়ার রহস্য। আরিফুল বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় আমার ভারসাম্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছিলো। মাহেলার (জয়াবর্ধনে) সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছি। শট খেলার সময় শরীরের ভার এক দিকে ঝুঁকে যেতো। সেটা নিয়ে কাজ করেছি। বিষয়টা কাজে লাগছে।’

বিষয়টি যে কাজে লাগছে, তা বোঝা যাবে বিপিএলে এখন পর্যন্ত খেলা আরিফুলের ইনিংসগুলোর দিকে তাকালেই। প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে, সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে নামতে পারেননি মাঠে। তৃতীয় ম্যাচে গিয়ে জ্বলে উঠেন আরিফুল। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে করেন ২৫ বলে ৪০ রান।

আরিফুলের ৪০ রানে ভর করে ওই ম্যাচে ১৭০ রান করে খুলনা। ম্যাচটি জিতেও যায় তারা। পরের ম্যাচে বেশিক্ষণ সুযোগ না পাওয়া আরিফুল অপরাজিত থাকেন চার রান করে। পঞ্চম ম্যাচে আবার চিটাগংকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় খুলনা, আবার ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেন আরিফুল। এরপর এলো আজকের ম্যাচ জেতানো ইনিংস— ১৯ বলে ৪৩।

আজকের ইনিংসটি আরিফুল এমন সময়ে খেলেছেন, যখন তার উপর ছিলো পাহাড় সমান চাপ। সেই চাপ জয় করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার আসলে বিশ্বাস ছিলো যে, শেষ পর্যন্ত যদি থাকতে পারি, তাহলে জিতবো। কারণ তখন ফিল্ডারদের ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। এই পরিস্থিতি মিস হিট হলেও দুই রান আসে। আমি সেভাবেই চিন্তা করছিলাম।’

এই ধরনের পরিস্থিতি যে তাকে দারুণ আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে, সে কথা বলতেও ভুলেননি আরিফুল। তিনি বলেন, ‘এভাবে ম্যাচ জিতলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আবার এমন পরিস্থিতিতে পড়লে মনে পড়বে যে, এভাবে ম্যাচ জিতিয়েছিলাম। এটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’