লঙ্কানদের কোচিংয়ে হাথুরুসিংহের নতুন পদ্ধতি

নিজ দেশের কোচ হওয়ার মাস খানকের মধ্যেই নতুন পদ্ধতি নিয়ে এলেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশে তিন বছর কোচিং করানোর মাধ্যমে বিশ্বমানে উন্নীত হওয়া এই কোচ নিজ দেশকে যে দারুণ কিছু দেয়ার চেষ্টা করছেন, তা বোঝা যাচ্ছে এ খবরেই।

এক দিন আগে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দলকে প্রথমবারের মতো অনুশীলন করিয়েছেন তিনি। এই অনুশীলনে নতুন কিছু বিষয়ও যোগ করেছেন চান্দিকা। যা নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ লঙ্কান মিডিয়া। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড থেকেও তার কাজের ধরন নিয়ে প্রশংসা শোনা গেছে।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, কোচিংয়ের প্রথম দিনে ক্রিকেটারদের গত এক বছরের কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করেছেন চান্দিকা এবং সবাইকে একটি করে কাগজ ধরিয়ে দিয়েছেন। সেই কাগজে ক্রিকেটারদের জীবনের নানা দিক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে এবং সবাইকে প্রশ্নের উত্তর লিখে কোচকে সরবারহ করতে বলা হয়েছে।

লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের দেয়া উত্তরগুলো একজন মনোবিদের কাছে দিবেন চান্দিকা। সেই মনোবিদ চান্দিকার সঙ্গে লঙ্কান কোচিং স্টাফে যুক্ত আছেন। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়দের মানসিকতা বুঝে তাদের পারফর্ম্যান্স এবং আত্মবিশ্বাস উন্নয়নে কাজ করবেন চান্দিকা।

অভিনব এই উপায় লঙ্কান ক্রিকেটাররা আগে কখনো দেখেননি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচের আরো বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার এই প্রক্রিয়া দারুণ পছন্দ করেছেন ক্রিকেটাররা।

এ বিষয়ে একজন লঙ্কান কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘চান্দিকা ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থাটা বুঝতে চান। এ কারণেই মূলত এ রকম উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে কাউকে কাউকে সবার সামনে পারফর্ম্যান্স ঠিক করার জন্য সাবধান করা হবে। কাউকে কাউকে আলাদা করে পরামর্শ দেয়া হবে। আবার কারো জন্য দুটিই দরকার হতে পারে।’

চানা গেছে, চান্দিকা প্রত্যেক ক্রিকেটারকে আগামী চার সপ্তাহের অনুশীলন সূচি ধরিয়ে দিয়েছেন। যাতে ব্যক্তিগত অনুশীলন, দলীয় অনুশীলন, টিম মিটিং ইত্যাদির সুনির্দিষ্ট সূচি আছে। এ রকম কিছুর সঙ্গেও লঙ্কান ক্রিকেটাররা আগে অবহিত ছিলেন না বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে।

নিজ দেশের কোচ হওয়ার আগে চান্দিকা ছিলেন বাংলাদেশে। তার অধীনে গত তিন বছরে স্মরণীয় বেশ কিছু সফলতা পেয়েছেন মাশরাফি-সাকিবরা। তার সঙ্গে তাই ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করেছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু চান্দিকা আর বাংলাদেশের হয়ে কাজ করতে চাননি। এক রকম জোর করেই বাংলাদেশ ছেড়ে যান তিনি।

নিজ দেশের কোচ হওয়ার পর চান্দিকা যেনো নিজের সবটা ঢেলে দিচ্ছেন। বাংলাদেশে এসে বেশির ভাগ সময় ছুটিতে থাকলেও নিজ দেশের বেলায় হয়তো সেটা করতে হবে না তার। কারণ সেখান থেকে তো আর ছুটি নিয়ে দেশে যাওয়ার ব্যাপার থাকছে না!