সাকিব-মুশফিকের গর্বের মুকুটে আরেক পালক

একটা করে বছর যায়, আর বিশ্বের বড় বড় মিডিয়া তাদের দৃষ্টিতে সেরা টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করে। ব্যতিক্রম হয়নি এ বছরও। এ বছরের প্রায় সব বড় মিডিয়ার টেস্ট দলে জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এটা অবশ্য তার জন্য নতুন নয়। দুটি দলে জায়গা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। এবার ইএসপিএন ক্রিকইনফোর দলেও জায়গা পেলেন এ দুজন। তাদের গর্বের মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক।

একদিন আগে ক্রিকইনফো তাদের বর্ষসেরা টেস্ট দল ঘোষণা করেছে। এই দলে একমাত্র স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন সাকিব আল হাসান। আর মুশফিকুর রহিম আছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ডট কম ডট এইউ-এর এবং ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের বর্ষসেরা টেস্ট দলেও ছিলেন বাংলাদেশের এ দুজন।

এ ধরনের দলে সাকিব আল হাসানের থাকাটা প্রায় নিয়মিত ব্যাপার হলেও মুশফিক এবারই প্রথম এতোগুলো বর্ষসেরা টেস্ট দলে ঢুকে গেলেন। সদ্য টেস্ট অধিনায়কত্ব হারালেও এই কীর্তি নিশ্চয় মুশফিককে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করছে।

২০১৭ সালে সাকিব খেলেছেন মোট সাতটি টেস্ট। এতে দুটি সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৭.৫০ গড়ে ৬৬৫ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া বল হাতে নিয়েছেন ২৯টি উইকেট। এর মধ্যে দুইবার ইনিংসে পাঁচ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। এ বছরই এসেছে তার ক্যারিয়ার সেরা ২১৭ রানের ইনিংস। এ ছাড়া এ বছরই সাকিব টেস্টখেলুড়ে সব দলের বিপক্ষে ইনিংসে পাঁচ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন। বছরের শেষ দুই টেস্টে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেননি তিনি। খেললে হয়তো রেকর্ডের এই পাতাটা আরো বেশি সমৃদ্ধ হতো।

একই সময়ে বাংলাদেশের খেলা আট টেস্টের সবগুলোতে ছিলেন এ সময়ের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আট টেস্টে দুই সেঞ্চুরিসহ মোট করেছেন ৭৬৬ রান। উইকেটের পিছনে নিয়েছেন ১২টি ক্যাচ এবং দুটি স্ট্যাম্পিং। এ রকম পারফর্ম্যান্সে ভর করেই তিন তিনটি বড় মিডিয়ার সেরা টেস্ট দলে জায়গা পেয়ে গেছেন তিনি।

উইকেটরক্ষক হিসেবে মুশফিকের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে প্রায়ই। কিন্তু উইকেটরক্ষণের পাশাপাশি ব্যাটিং সক্ষমতা বিবেচনা করলে মুশফিকের সমকক্ষ খেলোয়াড় বিশ্বে কমই আছে। আর আধুনিক ক্রিকেটে শুধু উইকেটরক্ষক হয়ে দলে থাকা একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। সে হিসেবে মুশফিককে যে তিনটি বড় মিডিয়ার সেরা টেস্ট দলের উইকেটরক্ষক করা হয়েছে, এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।

ক্রিকইনফোর টেস্ট দল: ডিন এলগার, ডেভিড ওয়ার্নার, চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), নাথান লিয়ন, কাগিসো রাবাদা, জেমস অ্যান্ডারসন ও নিল ওয়েগনার।