গেইল-হেটমেরের সেঞ্চুরি: জয়ে শুরু ক্যারিবীয়দের

দুই ম্যাচের প্রস্তুতিটা ঠিক প্রত্যাশিত হয়নি উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের। কিন্ত বাছাইপর্ব শুরু হতে ব্যাটিংয়ের ধরণও পাল্টে গেল ক্যারিবীয়দের। ক্রিস গেইল ও সিমরন হেটমেরের জোড়া সেঞ্চুরি অবলম্বনে ৬০ রানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই অভিযান শুরু করল উইন্ডিজ।

মঙ্গলবার হারারেতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাঁধে ৩৫৭ রানের বোঝা চাপিয়ে দেয় ক্যারিবীয়রা। জবাবে সবটুকু নিংড়ে দিয়ে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান তুলতে সক্ষম হয় আরব আমিরাত।

প্রস্তুতি ম্যাচ দুটোতে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয় দেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর যতটা না দায় ব্যাটসম্যানদের, তারচেয়েও বেশি কৃতিত্ব বাজে উইকেটের। তাই বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোতে স্পোর্টিং উইকেট চেয়েছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।

কিন্তু প্রথম ম্যাচে মেঘ না চাইতে যেন বৃষ্টি পেয়ে গেছে উইন্ডিজ। নির্ভেজাল ব্যাটিং উইকেটের সর্বোচ্চ ফায়দা তুলে নিয়েছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আমিরাতের বোলারদের বিপক্ষে গেইল-হেটমেররা মেতেছিলেন রানোৎসবে।

হারারে স্পোর্টস ক্লাবের ব্যাটিংস্বর্গে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন গেইল ও তরুণ হেটমের। একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাত তুলেছেন স্কোর বোর্ডে। গেইল তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৩তম শতক। মেরুন জার্সিতে তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমে হেটমর পেয়েছেন স্বপ্নের তিন অঙ্কের দেখা।

৯১ বলে ১২৩ রানে থামে গেইল-ঝড়। সাতটি চার ও ১১টি বিশাল ছক্কায় নান্দনিক ইনিংসটি সাজিয়েছেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দৈত্য। কম যাননি হেটমেরও। গেইলের চেয়ে দুই বল বেশি খেলে ১২৭ রানের বিধ্বংসী উপহার দিয়েছেন দলকে। তার ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও চারটি ছক্কার মার। রাজসিক এই ইনিংসে তিনি গেইলকে ছাপিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা পেয়েছেন।

এ দুজনের সেঞ্চুরির আগে-পরে এভিন লুইস (৩১) ও শাই হোপের (৩৫) মাঝারিমানের ইনিংসের সুবাদে দলীয় সংগ্রহ সাড়ে তিন শ ছাড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের পতন হওয়া চার উইকেট শিকার করেছেন আরব আমিরাতের চারজন।

৩৫৮ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা দেখে অবশ্য ভড়কে যায়নি আমিরাত। ৬৯ রানে তিন উইকেট হারানোর পরও ম্যাচে ছিল তারা। রামিজ শাহজাদের ১১২ রানের (নয়টি চার, চারটি ছক্কা) হার না মানা ইনিংসের সুবাদে জয়ের স্বপ্ন দেখলেও সেটা পূরণ হয়নি। শেষ পর্যন্ত আস্কিং রেটের চাপে পিষ্ট হয়ে যায় আমিরাত। ৬৪ রান করেন শাইমান আনোয়ার। আদনান মুফতি ৪৫ এবং সিরাগ সুরির ব্যাট থেকে এসেছিল ৩৮ রান।

আসলে ক্যারিবীয় অধিনায়ক হোল্ডার আমিরাতের রোমাঞ্চকর রান তাড়ায় জল ঢেলে দেন। তাদের পতন হওয়া ছয় উইকেটের পাঁচটিই তুলে নিয়েছেন হোল্ডার। অন্য শিকারটা কেমার রোচের।