এবার গেইলদের চমকে দিল আফগানিস্তান

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সুপার সিক্সের শুরুটা হলো অঘটন দিয়ে। বৃহস্পতিবার দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে আফগানরা জিতেছে ৩ উইকেটে। এই আসরে এটা ক্যারিবীয়দের প্রথম হার।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গ্রুপপর্বে নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছিল আফগানিস্তান। রশিদ-নবিরা হেরে বসেছিলেন প্রথম তিন ম্যাচের সবকটিতে। তাতে সুতোয় ঝুলে গিয়েছিল আফগানদের বিশ্বকাপ ভাগ্য। প্রায় অলৌকিক সমীরকরণ অনুকূলে যাওয়ার পর সুপার সিক্সের টিকিট পেয়েছিল তারা।

ফিকে হয়ে যাওয়া স্বপ্নটা ফিরে পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে উঠল আফগানিস্তান। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুরুতেই বাজিমাত করলেন রশিদ-নবিরা; হারালেন গেইল-স্যামুয়েলস-হোল্ডারদের। তবে স্লো উইকেটে জয়ের জন্য বেশ কাঠখড়ই পোড়াতে হয়েছে তাদের। ক্যারিবীয়দের ১৯৭ রানে বেঁধে দেওয়ার পর জয়ের জন্য আফগানদের যেতে হয়েছে ৪৮তম ওভার অবধি।

হারারেতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উইকেটে থিতু হওয়ার পরও দলের কোনো ব্যাটসম্যান অর্ধশতক তুলে নিতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান শাই হোপ। উল্লেখযোগ্য রান বলতে মারলন স্যামুয়েলস (৩৬), অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (২৮) ও ওপেনার এভিন লুইসের (২৭)।

আফগানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের তোপে দুশো রান পর্যন্ত করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেটে ১৯৭ রান স্কোর বোর্ডে জমা করেছে ক্যারিবীয়রা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পতন হওয়া উইকেটের তিনটি নিয়েছেন মুজিব জাদ্রান। যা তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। দুটি শিকার মোহাম্মদ নবির। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুড়েছেন রশিদ খান ও শারাফুদ্দিন আশরাফ।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নামা আফগানিস্তানের শুরুটাও ছিল দুঃস্বপ্নের। ১৭ রানের মধ্যে হারাতে হয়েছে দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও জাভেদ আহমাদিকে। রহমত শাহ ও সামিউল্লাহ শেনওয়ারির ব্যাটিং দৃঢ়তায় ম্যাচে ফিরে আসে আফগানরা। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে করেন ৬৬ রান।

২৭ রানে সামিউল্লাহ বিদায় নিলেও নবিকে নিয়ে ৪৯ রানের আরেকটি কার্যকর জুটি গড়েন তিনে নামা রহমত শাহ। ম্যাচের একমাত্র অর্ধশতক এসেছে তার ব্যাট থেকেই। দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে সাজঘরে ফিরে আসেন রহমত।

ক্যারিয়ারে নবম হাফসেঞ্চুরি করা আফগান এই ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন ৬৮ রানে। শেষ দিকে নাজিবুল্লাহ জাদ্রান (১৯), গুলবাদিন নায়েব (১০) ও রশিদ খানের (১৩*) ছোটখাটো ইনিংসগুলো আফগানদের জয়ে রেখেছে ভূমিকা।