একের পর এক ‘বাউন্সারে’ নাকাল শামি

স্ত্রী হাসিন জাহানের একের পর এক বাউন্সারে নাকাল মোহাম্মদ শামি। ভারতের মডেল-অভিনেত্রীর সবচেয়ে বিধ্বংসী বাউন্সটা ছিল শামির বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগটা। যেটা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় ভারত। অভিযোগ ভালোভাবেই আমলে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে তারা।

অভিযোগের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ডেকে এনে শামিকে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন কমিটি। ম্যাচ ফিক্সিং এবং আর্থিক দুর্নীতিতে শামির সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতেই বোর্ডের দুদকের এই জেরা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই ভারতীয় পেসারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে শামিকে আবারো ডেকে পাঠাতে পারে কমিটি।

শামিকে জজিজ্ঞাসাবাদ করেন সিওএ’র নিয়োগপ্রাপ্ত এসিএসইউ’র প্রধান নিরজ কুমার। পরে শামির বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমের কয়েকটি প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। শামি ফিক্সিংয়ে জড়িত কিনা, তদন্তে শামি কতটা সহায়তা করছেন এসব প্রশ্নে উত্তর দিলেন না নিরজ কুমার।

সম্প্রতি বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ করে শামির স্ত্রী হাসিন দাবি করেন, ‘একজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ীর সামনে আলিশবা নামক পাকিস্তানি এক নারীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন শামি।’ যদিও স্ত্রীর এমন লোমহর্ষক অভিযোগটা উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় পেসার।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড-ও নিতে প্রস্তুত আছেন শামি। তদন্তকারী কর্মকর্তা শামির মুখের কথাটা বলেছেন, ‘ফিক্সিং করার চেয়ে আমার মরে যাওয়াই ভালো। তদন্তে আমি সার্বিকভাবে সহয়াতা করব। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে আমি মৃত্যুদণ্ড নিতে প্রস্তুত আছি।’

স্ত্রীর দায়ের করা একের পর এক অভিযোগে ক্যারিয়ার বিপর্যয়ের মুখোমুখি শামি। ভারতীয় ক্রিকেটার খুব করেই চাইছেন স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে। মীমাংসার জন্য স্ত্রীকে ফোনেও অনুরোধ করেছেন শামি।

শামির তদন্ত প্রতিবেদন এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই। ২৮ মার্চের মধ্যে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসন্ন আইপিএলেও খেলা হবে না শামির। সেক্ষেত্রে তার পরিবর্তিত কাউকে খুঁজবে বলে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। তবে শামির কণ্ঠে যে উচ্চস্বর শোনা যাচ্ছে তাতে করে একটু নির্ভার থাকতেই পারে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি।