দুই পেরেরার তাণ্ডবে কঠিন চাপে বাংলাদেশ

৩২ রানে চার চার উইকেট এবং ৪১ রানে পাঁচ; নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে উঠার ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হাল করার পরও কঠিন চাপে বাংলাদেশ। কারণ ষষ্ট উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়ে দেন কুসাল পেরেরা ও থিসারা পেরেরা। দুই পেরেরার ৯৭ রানের জুটিই মূলত চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশকে। লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬০ রান।

অথচ বাংলাদেশি বোলারদের দাপটে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে উঠার ম্যাচের শুরুতেই বেসামাল হয়ে পড়েছিলো শ্রীলঙ্কা। ৩২ রান তুলতে না তুলতেই চার উইকেট হারায় তারা। এর মধ্যে মোস্তাফিজই নেন দুটি।

এই ম্যাচ দিয়ে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেন সাকিব আল হাসান এবং তিনিই লঙ্কান ব্যাটিং লাইনে প্রথম আঘাত হানেন। দলীয় ১৫ রানে, তৃতীয় ওভারে দানুসকা গুনাথিলাকাকে সাব্বিরের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। পরের ওভারে কুসাল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মোস্তাফিজ।

এক ওভার পর আবার মোস্তাফিজের ওভারে রান হয়ে ফেরেন উপুল থারাঙ্গা। তার আউটের এক বল পর মোস্তাফিজের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন দাসুন শানাকা। লঙ্কানদের স্কোরবোর্ডে তখন উঠেছে মোটে ৩২ রান! স্কোরবোর্ডে ৫০ যোগ হওয়ার আগে তারা আরো এক উইকেট হারায়।

এই পরিস্থিতিতে প্রেমাদাসার গ্যালারিতে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। কিন্তু সেই নীরবতায় প্রাণ সঞ্চার করতে সময় নেননি কুসাল পেরেরা ও থিসারা পেরেরা। ষষ্ট উইকেটে এ দুজন গড়েন ৯৭ রানের রেকর্ড জুটি। যা এই জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

নবম ওভারের প্রথম বলে গড়া জুটি ভাঙে ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। ৪১ থেকে শ্রীলঙ্কার রান ততক্ষণে হয়ে গেছে ১৩৮ রান। ৬১ রান করা কুসাল পেরেরা বিদায়ের মাধ্যমে ভাঙে জুটি। পরে হাফ সেঞ্চুরি করেন থিসারা পেরেরাও। শেষ পর্যন্ত ১৫৯ রানে থামে শ্রীলঙ্কা।

এই ইনিংসে নাজমুল ইসলাম অপুকে বোলিংই দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান। নিদাহাস ট্রফির আগের তিন ম্যাচে দলের সেরা বোলার ছিলেন তিনিই। দ্রুত পাঁচ উইকেট ফেলে দেয়ার পর দুই বাঁহাতির জুটির সময় আর তাকে আনেননি সাকিব। বাঁহাতিদের জুটি ভাঙলে হয়তো আনতেন। কিন্তু তাদের জুটিই যে স্থায়ী হয় ১০ ওভারের বেশি! ফলে নাজমুলকেও আর বোলিংয়ে সুযোগ পাননি সাকিব।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের ম্যাচে ২১৪ রান চেজ করে জিতেছিলো বাংলাদেশ। সুতরাং ওই ম্যাচ থেকেই শুক্রবার সন্ধ্যা রাঙানোর অনুপ্রেরণা নিতে হবে তামিম-লিটন-সৌম্যদের।