সামনে আমি আরো সতর্ক থাকবো, বললেন সাকিব

ম্যাচে তখন স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনা। যে কোনো মুহূর্তে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার দশা কোটি মানুষের। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের গ্যালারি তখন রীতিমত আবেগে কাঁপাকাঁপি করছে। এর মধ্যেই ঘটে গেলো এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

শেষ ওভারে জেতার জন্য বাংলাদেশর দরকার ছিলো ১২ রান। প্রথম দুই বল থেকে আসেনি একটা রানও। উল্টো চলে গেছে এক উইকেট। ঠিক এই মুহূর্তেই ঘটলো ঘটনাটা।

শেষ ওভার করতে আসা ইসুরু উদানার প্রথম দুটি বলই যায় মোস্তাফিজের হেলমেটের পাশ দিয়ে। এ ধরনের উঁচু বল পরপর দুটি দিলে, পরেরটি নো হয়ে যায় যে কোনো বিচারেই। কিন্তু আম্পায়াররা তা দিলেন না। ব্যস, মেজাজ হারালেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

নিকট অতীতে এতোটা মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি সাকিব। দূর অতীতেও নয়। এভাবে আসলে আধুনিক ক্রিকেটে মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি কোনো ক্রিকেটারকে। সাকিব শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে উঠার ম্যাচে এতোটাই মেজাজ হারালেন যে, মাঠে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও রুবেল হোসেনকে মাঠ থেকে বেরিয়েই আসতে বললেন!

শেষ পর্যন্ত অবশ্য অধিনায়ককে ঠাণ্ডা করেছেন কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ও আম্পায়াররা। সাকিব ঠাণ্ডা হওয়ার পর চার বলে ১২ রান দরকার ছিলো বাংলাদেশের। এক বল হাতে রেখেই প্রয়োজনীয় রান নিয়ে নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশ জিতে যায় দুই উইকেট।

ম্যাচ শেষে সাকিব বুঝতে পেরেছেন তার ভুল। বলেছেন, ‘মাঠে অনেক কিছু হয়ে গেছে। যা হওয়া উচিত হয়নি। আমার ঠাণ্ডা থাকা উচিত ছিলো। আমি একটু বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। পরেরবার কেমন আচরণ করতে হবে, তা মনে থাকবে। সামনে আমি আরো সতর্ক থাকবো।’

সামনে যতোই সতর্ক থাকুন না কেনো— সাকিবকে হয়তো এতোটা উত্তেজিত হওয়ার চড়া মূল্যই দিতে হবে। রোববার নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে তাকে নিষিদ্ধ করতে পারে আইসিসি। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো হালনাগাদ তথ্য আসেনি।