আরও ব্যস্ততা বাড়ছে বাংলাদেশের, সামনে যতো ম্যাচ

নিদাহাস ট্রফির আগের সময়টা বেশ বাজেই কেটেছে বাংলাদেশের। তবে ওই সময়টাকে ‘অঘটন’ ভেবে ভুলে যেতে পারলে মাশরাফি, সাকিবদের বড় বড় অনেক কীর্তি চোখে ভাসবে। গত বিশ্বকাপের পর থেকেই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। তাতে কদরও বাড়ছে। আগে বড় দলগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে খেলতে নাক সিটকাতো। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি তার উল্টো। আর এটাই আরও ব্যস্ত করে দিচ্ছে সাকিব-তামিম-মাশরাফিদের।

গত তিন মাস টানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়েকে নিয়ে জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে ব্যস্ততার শুরু। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ, টি-টোয়েন্টি সিরিজ আবার নিদাহাস ট্রফির পিঠাপিঠি ম্যাচ। সামনেও ব্যস্ত সূচি বাংলাদেশের সামনে।

অবশ্য সাকিব-মাশরাফিদের ব্যস্ততাটা শুরু হচ্ছে একটু বিরতি নিয়ে। আগামী দুই মাস আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ নেই বাংলাদেশের। তবে এরপরই শুরু হবে টানা ক্রিকেট। ভারতের নইডায় জুনের প্রথম থেকে আফগানিস্তানে বিপক্ষে একটা সংক্ষিপ্ত সিরিজ খেলার কথা বাংলাদেশের। এই সিরিজটা অবশ্য এখনো চূড়ান্ত নয়।

তবে শোনা যাচ্ছে, হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যদি আফগানিস্তান সিরিজ হয় তবে তার সপ্তাহ খানেক পরই লম্বা সিরিজ খেলতে উইন্ডিজ উড়াল দিতে হবে সাকিব-মাশরাফিদের। জুনের ২০ তারিখে ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলতে উইন্ডিজ পৌঁছার কথা বাংলাদেশের। উইন্ডিজ আর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ভেন্যুতে সিরিজের ম্যাচগুলো শেষ হবে আগষ্টের প্রথম ভাগে।

উইন্ডিজ সিরিজের পর টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। অবশ্য শোনা যাচ্ছে ‘অফ সিজনে’র কারণে সিরিজটা এখন খেলতে চাচ্ছে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তবে বিসিবির একটি সূত্র বলছে, টেস্টের বদলে অস্ট্রেলিয়াকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার প্রস্তাব দেয়া হবে। তাতে তারা রাজি হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই সিরিজটা হলে তার পরপরই ঝাপিয়ে পড়তে হবে এশিয়া কাপে। সেপ্টেম্বরে শুরু হবে এশিয়া কাপ। অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বিপিএলের পরপরই বাংলাদেশ আসার কথা উইন্ডিজের। অর্থাৎ দুমাস পর থেকে দম ফেলার ফুসরত পাবেন না ক্রিকেটাররা।

বিষয়টি অবশ্যই দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো। তবে এতো ব্যস্ততা চিন্তারও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান সিরিজের পরপরই আমরা উইন্ডিজ যাব। সেখান থেকে এসে এশিয়া কাপ। খুব একটা বিরতি নেই। এরপর বিপিএল, উইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে (জানুয়ারিতে) আসবে। টানা খেলার মধ্যে থেকে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার শঙ্কা থাকছে। সামনের দুই বছর ভীষণ ব্যস্ত সূচি। চোট কিংবা ছন্দ হারিয়ে ফেলার শঙ্কা থাকছে। ফলে অনেক খেলোয়াড় স্ট্যান্ডবাই রাখতে হবে। দুটি দল প্রস্তুত রাখতে হবে।’

এদিকে, আগামী দুই মাস আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা না থাকলেও ক্রিকেটারদের যে বসে থাকতে হবে তেমনটা কিন্তু নয়। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান যাবেন আইপিএল খেলতে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) চলবে এই সময়ে। জাতীয় দলের অনেকেই খেলবেন সেখানে।