‘আমি দুইটি জিনিস চাই, বিশ্বাস করি সামর্থ্য আছে’

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিটি আসরে অংশ নিয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্চাব। কিন্তু স্বপ্নের শিরোপাটা এখনো অধরা রয়ে গেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কাছে। তবে এই আসরে পাঞ্জাবের স্বপ্নটা পূরণ করতে চান ক্রিস গেইল। ক্যারিবীয় ড্যাশিং ওপেনার পাঞ্জাবকে এনে দিতে চান বহু আরাধ্যের আইপিএল ট্রফিটা।

চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার আক্ষেপটা আজও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে পাঞ্জাবকে। অথচ ট্রফি জয়ের জন্য গত দশ বছরে কতকিছুই না করেছে দলটি। বদলেছে খেলোয়াড়, পাল্টেছে অধিনায়ক। এবারো নতুন আঙ্গিকে পথ চলতে শুরু করেছে পাঞ্জাব। দলে ভিড়িয়েছে গেইলকে, ক্যারিবীয় দৈত্যের ব্যাটে চড়ে শিরোপা জয়ের স্বপ্নে এখন বিভোর তারা।

২০০৮ সাল থেকে যাত্রা শুরু করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক রোমাঞ্চকর এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। প্রতিটি আসরেই অতি পরিচিত মুখ প্রীতি জিনতা। পাঞ্জাবের ম্যাচ মানেই গ্যালারিতে উচ্ছ্বসিত বলিউড অভিনেত্রীর উপস্থিতি। দলকে অনুপ্রাণিত করতে মাঠের বাইরে সম্ভাব্য সবকিছুই করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে দেখা যায় তাকে।

কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় পাঞ্জাব মালিকদের। তন্মধ্যে প্রীতিই আলোচনায় উঠে আসছেন বারবার। গত এক দশকে খেলোয়াড়রা তার আবেগ ও অনুপ্রেরণার সেরা পুরস্কারটা দিতে পারেননি। ২০১৪ সালে শিরোপা হাতছোঁয়া দূরত্বে রেখে এসেছিল মোহালির ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

এবার প্রীতির জন্য হলেও আইপিএলের শিরোপা জিততে চান গেইল। তিনি বলেছেন, ‘কিংস ইলেভেন পাঞ্চাব কখনো এটা (আইপিএল) জিততে পারেনি। এই দলটার মালিক প্রীতি অসধারণ এবং উৎসাহী মানুষ। আমার মতে এ বছর শিরোপাটা তারই প্রাপ্য।’ এবারের আসরে পাঞ্চাবের শুরুটাও হয়েছে দুর্দান্ত। প্রথম সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় তুলে নিয়েছে তারা।

আইপিএলের একাদশ আসরে পাঞ্জাবের উড়ন্ত শুরুর নায়ক গেইল। দলের পাঁচ জয়ের তিনটিরই ম্যাচ সেরা হয়েছেন ক্যারিবীয় সেনসেশন। ফর্মটা ধরে রাখতে পারলে হয়তো নিজের একটা দুঃখও ঘোচাতে পারবেন গেইল। প্রীতির মতো কখনো আইপিএল জেতা হয়নি টি-টোয়েন্টির রাজারও!

শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজি দল নয়, আগামী বছর জাতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বিশ্বকাপও জয়ের স্বপ্ন দেখছেন গেইল। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বাঁ-হাতি বিধ্বংসী ওপেনার বলেছেন, ‘আমি দুইটি জিনিস চাই। এবারের আসরের আইপিএল এবং আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে চাই। আমি বিশ্বাস করি ২০১৯ বিশ্বকাপ জয়ের সামর্থ্য আছে আমাদের।’