দেশের জন্য ব্যক্তিগত ‘গৌরব’ ছেড়েছেন সাকিব

সারা বিশ্ব থেকে বাছাই করা দলে খেলা যে কোনো ক্রিকেটারের কাছেই বিশেষ এক অর্জন। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং এক নম্বর ওপেনার তামিম ইকবালের কাছে হাজির হয়েছে এমন উপলক্ষ্য। কিন্তু সাকিব সেখানে খেলবেন না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু কেনো? কেনো সাকিব এমন গৌরব ঠেলে দিলেন দূরে? উত্তর হলো— আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগে নিজেকে অন্য কোথাও ব্যস্ত রাখতে চাননি সাকিব। অর্থাৎ দেশের জন্যই গৌরবের হাতছানি উপেক্ষা করেছেন তিনি।

এ মাসের শেষ দিন, ৩১ মে লর্ডসে বিশ্ব একাদশ এবং উইন্ডিজ এক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল এরই মধ্যে এই ম্যাচকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এই ম্যাচ আয়োজনের উদ্দেশ হলো প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কয়েকটি ক্যারিবীয় স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য অর্থ সংগ্রহ। এমন ম্যাচে খেলার আমন্ত্রণ পেয়ে হাসিমুখে রাজি হয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু পরে দেশের খেলার কারণে তিনি তাতে না করে দেন।

সাকিব আপাতত ব্যস্ত আছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে। দারুণ অলরাউন্ড পারফর্ম করে নিজের দলকে এর মধ্যেই ফাইনালে তুলেছেন তিনি। ফলে তিনি আছেন খেলার মধ্যেই। সুতরাং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি খেললে যে ম্যাচ অনুশীলন হতো, সেটার খুব বেশি দরকারও নেই তার।

কিন্তু ম্যাচ অনুশীলনের দরকার আছে তামিম ইকবালের। কারণ নিদাহাস ট্রফিতে তিনি যে পুরোনো ইনজুরিতে পড়েছেন, তা থেকে এখনো সেরে উঠেননি। ওই ইনজুরি তিনি খেলেছেন পিএসএল। এরপর থেকে চলছে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। যে শেষ হয়ে যাবে শিগগিরই।

কিন্তু পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ হলেই ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই তামিমের সামনে। তাকে সরাসরি খেলতে হতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এ কারণে বিশ্ব একাদশের ম্যাচটি তার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তামিম তাই ম্যাচটি খেলবেন।

সাকিবও খেলতে পারতেন। কিন্তু তিনি যেহেতু টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক, সেহেতু দল নিয়ে পরিকল্পনা করারও ব্যাপার আছে। এ ছাড়া আইপিএলে টানা খেলার বিশ্রামেরও দরকার আছে তার। সব মিলিয়ে সাকিব বিশ্ব একাদশের চেয়ে দেশের স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।