এই মহাতারকারাও আইপিএলে উপেক্ষিতদের তালিকায়!

২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। তারপর দিন গড়ার সাথে সাথে আইপিএল বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগে পরিণত হয়েছে। অর্থের ঝলকানিতে জাকজমকের দিক দিয়ে আইপিএল এখন ষোলো আনা পূর্ণ থাকে। মাঠের লড়াইয়েও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা। এসবের মধ্যে বিস্মিত হবার মতো ঘটনাও কিন্তু কম ঘটে না।

প্রতিবছরই বিশ্বের সেরা তারকাদের বেছে বেছে অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। তবে এই চেষ্টাতে প্রতিবছর গড়মিলও হয়। দেখা যায়, বড় কোনো তারকা দলই পেলেন না। কিন্তু মাঝারি মানের কোনো ক্রিকেটার বিশাল দামে বিক্রি হলেন। আবার দেখা যায়, কোনো বড় তারকা এমন এক দলে পড়েছেন যেখানে চার বিদেশির হিসেব মিলাতে গিয়ে সেরা একাদশে জায়গাই পাচ্ছেন না। তাদের নিয়েই আজকের আয়োজন।

স্টিভেন স্মিথ: বল ট্যাম্পাটিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ থাকলেও স্টিভেন স্মিথকে বর্তমান বিশ্বের সেরা দুজন ব্যাটসম্যানের মধ্যে একজন মনে করা হয়। এবারের আইপিএল খেলতে না পারলেও সাড়ে ১২ কোটিতে বিক্রি হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার ২০১০ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে একটি ম্যাচও মাঠে নামার সুযোগ পাননি স্মিথ! পরের বছর তাকে নিলাম থেকে কিনে নেয় কোচি টাস্কার্স। কিন্তু সে বছরও পুরো আসর বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে স্মিথকে, একটি ম্যাচেও মাঠে নামার সুযোগ পাননি!

ক্রিস লিন: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারকে বর্তমানে অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটম্যান মনে করা হচ্ছে। চলতি আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে নিয়মিত ঝড় তুলছেন লিন। কিন্তু ২০১২ সালে ডেকান চার্জার্স মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়েছিল। ২০১৩ সালে গিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। সেবার হায়দরাবাদ লিনকে একটি ম্যাচও মাঠে নামায়নি।

পল কলিংউড: ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মনে করা হয় তাকে। ২০১০ সালে কলিংউডকে নিলাম থেকে কিনে নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। টানা দুই বছর ছিলেন রাজস্থানে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার দুবছরে রাজস্থান একটা ম্যাচও খেলার সুযোগ দেয়নি কলিংউডকে।

মোহাম্মদ আশরাফুল: ২০০৯ সালের বাংলাদেশের অন্যতম সেরা প্রতিভাকে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে কিনেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু সেবার পুরো আসরে আশরাফুলকে মাত্র এক ম্যাচ খেলার সুযোগ দেয় মুম্বাই। সেটাই আইপিএলে আশরাফুলের একমাত্র স্মৃতি।

তামিম ইকবাল: আশরাফুল তাও একটা ম্যাচ খেলতে মাঠে নামতে পেরেছেন। বাংলাদেশের হয়ে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার আন্তর্জাতিক রান করা তামিম ইকবাল সেই সুযোগটাও পাননি। ২০১২ সালেরর আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়ার্সের হয়ে খেলার জন্য ডাক পেয়েছিলেন তামিম। কিন্তু পুরো আসরে তামিমকে একটা ম্যাচও খেলায়নি পুনে। তামিমকে পরের বছরগুলোতে আইপিএলের কোনো দলই আর ডাকেনি।

ব্রাড হাডিন: ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষককে কিনে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সে বছর তাকে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ গিয়েছিল কলকাতা। কলকাতায় পরের দুবছরও ছিলেন হাডিন। কিন্তু সেই দুবছরে একটি ম্যাচও মাঠে নামা হয়নি তার।

ডারেন লেম্যান: ২০০৩ সালের অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন লেম্যান। ২০০৮ সালের আইপিএলে তাকে কিনেছিল রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু সেবার পুরো মৌসুমে লেম্যানকে মাত্র ২ ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়েছে রাজস্থান। পরে আর আইপিএলে সুযোগই পাননি কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার কোচের দায়িত্ব ছাড়া লেম্যান।