এই ‘ব্যর্থ একাদশ’ কিন্তু হারিয়ে দিতে পারে যে কোনো দলকে

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) শেষ সময়ের খেলা চলছে। ফাইনালসহ আর মাত্র তিনটা ম্যাচ বাকি একাদশ আইপিএলের। চারটি দল এই মুহূর্তে ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ব্যস্ত। বাকি চারটি দল বাদ পড়েছে। দল বাদ পড়েছে ঠিকই কিন্তু ওই চার দলের মধ্যে নির্দিষ্ট করে কয়েকজন খেলোয়াড় কিন্তু চলতি আইপিএলে দুর্দান্তই খেলেছেন।

এবারের আইপিএলের প্লে-অফে উঠতে পারেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। এই চার দল থেকে সেরা একাদশ নির্বাচন করতে চাইলে কেমন হতে পারে চলুন দেখে নেওয়া যাক।

ওপেনিং: লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব। লোকেশ রহুল ১৪ ম্যাচে ৬ হাফ সেঞ্চুরিতে ৬৫৯ রান করেছেন। স্ট্রাইকরেট ১৫৮.৪১। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে বেশ ধারাবাহিকভাবেই রান করেছেন রাহুল। তার সঙ্গি হিসেবে রাখা যেতে পারে সূর্যকুমার যাদবকে। ক্রিস গেইলও প্লে-অফে সুযোগ না পাওয়া দলে (পাঞ্জাব)। তবে কয়েকটা ইনিংস ভালো খেললেও ধারাবাহিকভাবে রান করতে পারেননি গেইল। সে হিসেবে মুম্বাই ওপেনার যাদবই উপযুক্ত পছন্দ হতে পারে। যাদব ১৪ ম্যাচে ১৩৩.৩৩ স্ট্রাইকরেটে ৫১২ রান করেছেন।

মিডলঅর্ডার: মিডলঅর্ডারে বিরাট কোহলি, ঋশাভ পান্ট, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও শ্রেয়াস আয়ারকে বেছে নেওয়া যেতে পারে। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে ১৪ ম্যাচে ৬৮৪ রান করা পান্ট চলতি আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। দিল্লি অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া শ্রেয়াসও দুর্দান্ত খেলেছেন মিডলঅর্ডারে। ১৪ ম্যাচে ৪১১ রান করেছেন। আর ব্যাঙ্গালুুরু হয়ে দুর্দান্ত খেলা কোহলি এবং ডি ভিলিয়ার্স তো অটো চয়েস!

অলরাউন্ডার: অলরাউন্ডার হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়াকে বেছে নেওয়া যায়। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ব্যাট হাতে খুব বেশি রান করতে না পারলেও বল হাতে দারুণ সফল হার্দিক। ১৩ ম্যাচে রান করেছেন ১৯৫। আর বল হাতে তুলে নিয়েছেন ১৮ উইকেট।

বোলার: স্পিনার হিসেবে মুজিব-উর-রহমান প্রথম পছন্দ হবেন। পাঞ্জাবের হয়ে ১১ ম্যাচে ১৪ উইকেট দখল করেছেন আফগান এই স্পিনার। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৬.৯৯।

তিন পেসারে দল সাজালে অ্যান্ড্রু টাই, উমেশ যাদব ও জাসপ্রিত বুমরাহকে রাখা যেতে পারে। ১৪ ম্যাচে ২৪ উইকেট তুলে নিয়ে একাদশ আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক পাঞ্জাব পেসার টাই। উমেশ যাদব ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ১৪ ম্যাচে ২০ উইকেট দখল করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। জাসপ্রিত বুমরাহ ১৪ ম্যাচে ১৭ উইকেট দখল করেছেন। কিন্তু নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিবেচনায় বুমরাহকে রাখা যায়।

বাদ পড়াদের নিয়ে বানানো এই দলকে দুর্দান্ত ভারসাম্যপূর্ণ বলতেই হবে। এই একাদশ তো বিশ্বের যে কোনো দলকেই নিঃসন্দেহে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।