আফগানিস্তান দলে ঢুকলেন আরেক তরুণ

রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান, আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের দুই তরুণ তুর্কি। আবির্ভাব থেকেই যারা তাদের স্পিনের মায়াজালে সম্মোহিত করে যাচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের। এবার তাদের সাথে যোগ হলেন আরেক তরুণ— হজরাতুল্লাহ জাযাই। এই তরুণ অবশ্য রশিদ-মুজিবের মতো স্পিনার নন। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলভুক্ত হয়েছেন তিনি।

রোববার থেকে শুরু হচ্ছে মূল সিরিজ। তার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ৬৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন হজরাতুল্লাহ। ওই ইনিংসটি বিবেচনায় নিয়েই নির্বাচক কমিটির বিশেষ সুপারিশে তাকে দলভুক্ত করা হয়েছে। ২০ বছর বয়সী হজরাতুল্লাহর একটি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে।

রোববার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ভারতের দেরাদুনের রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজটি শুরু হবে। বাকি দুই ম্যাচ হবে পাঁচ ও সাত জুন। সবগুলো ম্যাচ একই সময় ও একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

ক্রিকেটীয় ইতিহাস ও মর্যাদার বিবেচনায় আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পার্থক্য অনেক। কিন্তু টি-টোয়েন্টির মতো স্বল্প সময়ের খেলায় আফগানরা সমীহ জাগানিয়া দল। গত দুই বছরের তাদের পারফর্ম্যান্সের গ্রাফও উর্ধ্বমুখী। যার প্রমাণ দিচ্ছে আইসিসির র‍্যাঙ্কিং, যেখানে বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে আফগানরা।

সুতরাং সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য কোনোভাবেই সহজ হচ্ছে না। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, সহঅধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদসহ দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় এমনই মনে করেন। তাই বলে তাদের কাছে বাংলাদেশ উড়ে যাবে, এমনও নয়। সাকিব বরং বলছেন, অন্য যে কোনো দলের মতোই আফগানিস্তান তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং নিজেদের সেরাটা খেলেই তারা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জিততে চান।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকর, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, আরিফুল হক, মেহেদি হাসান, নাজমুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ, মোস্তাফিজুর রহমান (ইনজুরির কারণে বাদ) ও রুবেল হোসেন।

আফগানিস্তান স্কোয়াড: আসগর স্টানিকজাঈ, মোহাম্মদ শেহজাদ, নাজিম তারাকাই, উসমান গনি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, শফিকুল্লাহ শফিক, দারবিশ রাসুলি, কারিম জানাত, মোহাম্মদ নাবি, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, শারাফুদ্দিন আশরাফ, মুজিব উর রহমান, শাপুর জাদরান, আফতাব আলম ও হজরাতুল্লাহ জাযাই।