ক্রিকেট সামর্থ্যের বিচারে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আফগানিস্তান। কিন্তু ফরম্যাটটা যখন টি-টোয়েন্টি, তখন তারই বড় দল। কারণ আইসিসি র‍্যাঙ্কিং বলছে, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে আফগানিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে আছে। সুতরাং তাদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে নামার আগে বাংলাদেশকে কষতে হচ্ছে নানা অঙ্ক। এই দলের বিপক্ষে জিতলে বাংলাদেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যাবে না। কিন্তু হারলে সমালোচনার তীর ছুটতে থাকবে।

rubel might be best pacer against afghanistan

গত দুই বছরে ১০টির বেশি টি-টোয়েন্টি জিতেছে মাত্র তিনটি দেশ। এর মধ্যে একটি আফগানিস্তান। দুই বছরে খেলা ১৫টি টি-টোয়েন্টির ১২টিতেই জিতেছে তারা। ১০টির বেশি টি-টোয়েন্টি জেতা অন্য দুই দল হলো ভারত ও পাকিস্তান। পক্ষান্তরে এই সময়ে বাংলাদেশ খেলেছে ১৪টি টি-টোয়েন্টি। সাকিব-তামিমদের হারতে হয়েছে ১১টিই। এই ফরম্যাটের ধাঁধা যে এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ, গত দুই বছরের পরিসংখ্যান বলছে সেটাই।

তাই বলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরিসংখ্যানের জুজুতে পড়লে হবে না তামিম-সাকিবদের। তাদের বরং খেলতে হবে নিজেদের সেরা ক্রিকেট। বাংলাদেশ দলে এমন কয়েকজন সদস্য আছেন, যাদের একার পারফর্ম্যান্সে আফগানিস্তানকে হারানো সম্ভব। সে রকম পাঁচ খেলোয়াড়কে নিয়ে এই আয়োজন।

তামিম ইকবাল

বাংলাদেশ দলের এক নম্বর ওপেনার এবং এক নম্বর ব্যাটসম্যানও। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক তামিম তুলনামূলক কম শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ পেলে জ্বলে উঠেন নিয়মিত। রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান যতোই ভয়ঙ্কর হোক না কেনো, তাদের বিরুদ্ধে একটু দেখে খেলতে পারলে তামিম খেলে দিতে পারেন বিশাল ইনিংস। তামিমের একটা বড় ইনিংস মানে ম্যাচের ‘স্টিয়ারিং হুইল’ বাংলাদেশের হাতে চলে আসা। কোনো কারণে তামিম ব্যর্থ হলে তার কাজটা করে দিতে পারেন সৌম্য সরকার বা লিটন দাস।

সাব্বির রহমান

টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথ চলা শুরু হয় সাব্বির রহমানের। সময়ে সময়ে জ্বলে উঠে নিজের এই পরিচয়ের প্রমাণও তিনি দিয়েছেন বেশ কয়েকবার। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিলো একেবারেই কম। তবে ইদানিং তার ব্যাট হেসে উঠছে প্রায়ই। নিদাহস ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে অনবদ্য ৭৭ রান করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া ওই আসরেই ২৭ ও ৩০ রানের আরো দুটি ইনিংস আছে তার। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও সেরা ছন্দের সাব্বির হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশের প্রধান ভরসা।

মুশফিকুর রহিম/ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ

নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই জয়ে বাংলাদেশের দুই নায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিন ফরম্যাটেই তারা বাংলাদেশ দলের অন্যতম প্রধান ভরসা। আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে তাদের খুব বেশি প্রয়োজন থাকার কথা নয়। কাজটা করে দেয়ার কথা দলের তরুণদেরই। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে আফগানরা যেহেতু হেলা করার প্রতিপক্ষ নয়, সুতরাং মুশফিক-মাহমুদুল্লাহকে এখানে বিশেষ প্রয়োজন। নিজেদের দিনে তারা কী করতে পারেন, সে বিষয়ে নিশ্চয় সারা বিশ্বই অবগত!

সাকিব আল হাসান

তিনি একসাথে দলের অধিনায়ক, সেরা বোলার এবং অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। সুতরাং এই তিন সত্তা নিয়ে সাকিব যদি জ্বলে উঠেন, পৃথিবীর যে কোনো দল সে দিন হয়ে যেতে পারে কেবলই দর্শক। আফগানিস্তান প্রথাগতভাবে স্পিন ভালো খেলে। কিন্তু সাকিবের স্পিন তাদের জন্য সহজ হওয়ার কথা নয়। বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানও সাকিবকে সাবধানে খেলেন। সে তুলনায় আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের তো সাকিবের সামনে ভীতই থাকার কথা। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার এই সিরিজে বাংলাদেশের প্রধান ভরসা।

রুবেল হোসেন

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোয়াডের এক নম্বর বোলার রুবেল হোসেন। মোস্তাফিজুর রহমান ইনজুরি কারণে ছিটকে যাওয়ায় তার উপর দায়িত্বও এবার বেশি। প্রায় এক দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা রুবেলের অভিজ্ঞতাও এখন অনেক বেশি সমৃদ্ধ। সুতরাং আফগানিস্তানের বিপক্ষে তার সফল না হওয়া হবে কেবলই দুর্ঘটনা। শুরুর দিকে রুবেল একটু ম্রিয়মাণ থাকলেও ডেথ ওভারে তিনি হয়ে উঠতে পারেন আফগানিস্তানের জন্য মূর্তিমান আতঙ্কের নাম।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.