কয়েক সেন্টিমিটারের দুঃখেই নীল বাংলাদেশ

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ক্রিকেটীয় সামর্থ ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিটাও হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। অর্থাৎ তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ সাকিব আল হাসানের দল। বিষয়টি নিয়ে তুলকালাম চলছে ক্রিকেটপাড়ায়।

চলারই কথা, আফগানদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়া মেনে নেওয়া যায় নাকি! তবে এই হোয়াইটওয়াশের লজ্জার জন্য কিন্তু ভাগ্যকেও দুষতে পারেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। কয়েক সেন্টিমিটার এদিক-ওদিক হলেই যে কালকের ম্যাচটা জেতা হয়ে যেতো বাংলাদেশের। সেটা হয়ে গেলে অন্তত হোয়াইটওয়াশে লাজ্জার তিলক লাগতো না কপালে। 

কালও রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবিদের বোলিং আক্রমণে দিশেহারা হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশকে ম্যাচ জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। ১৯তম ওভারে টানা ৫ চার হাঁকিয়ে ২১ রান তুলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রানের।

শেষ ওভারে বোলিং করতে এসে প্রথম বলেই মুশফিকুকে ফেরালেন রশিদ খান। পরের চার বলে মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল হক মিলে নিতে পারলেন পাঁচ রান। অর্থাৎ শেষ বলে দরকার ছিল চার রানের। রশিদ খানকে ভালোভাবেই হাঁকান আরিফুল হক।

বল সীমানার বাইরেই পড়ার কথা ছিল। কিন্তু সাতফুট উচ্চতার আফগান ফিল্ডার শফিকুল্লাহ আরও তিনফুট লাফিয়ে আরিফুলের শটটাকে আটকে দেন। বল ঠেকালেও অবশ্য হাতে জমিয়ে রাখতে পারেননি আফগান ফিল্ডার। বল বাউন্ডারির একটু দূরে পড়ে বাউন্ডারি পেরুতে যাচ্ছিল। শফিকুল্লাহ আপ্রাণ চেষ্টা করে ঠেকিয়ে দেন। কিন্তু বলটা মাটিতে পড়ে আবার যেতে থাকে সীমানার বাইরে। শফিকুল্লাহ আবার ঝাপিয়ে পড়ে কোনো মতে বলটা ঠেলে দেন মাঠের ভিতরে।

দ্বিতীয়বার যখন বলটা ঠেলে দেন তিনি, তখন কি তার একটা প মাঠের বাইরে ছিলো? তার মনে চার? দর্শকদের মনে যখন এই প্রশ্ন, তখনই টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় মাত্র কয়েক সেন্টিমিটারের কারণে বলটা চার হয়নি।

বল হাত দিয়ে ঠেলে দেওয়ার সময় শফিকুল্লাহর পা বাউন্ডারির বাইরে ছিল ঠিখই কিন্তু মাঠে স্পর্শ করেনি। বলে যখন হাত ছিলো তখন শফিকুল্লাহর পা মাটি থেকে কয়েক সেন্টিমিটার উপরে। এই কয়েক সেন্টিমিটার ওপরে থাকার কারণেই এক রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। সঙ্গী হয়েছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাও।