আবার উড়ে গেলো ভারত, সিরিজ ইংল্যান্ডের

টি-টোয়েন্টি সিরিজটা জিতলেও ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়াতে পারলো না ভারত। প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে গেলেও পরের দুই ম্যাচে স্রেফ উড়ে গেলেন বিরাট কোহলি। দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করলেন জো রুট আর ইংল্যান্ড জিতে নিলো সিরিজ।

মঙ্গলবার লিডসে আগে ব্যাটিং করে ২৫৬ রানের মাঝারি মানের লক্ষ্য দেয় ভারত। রুটের অপরাজিত ১০০ ও ইয়ন মরগানের অপরাজিত ৮৮ রানে ভর করে ইংল্যান্ড এই লক্ষ্য পূরণ করে ফেলে আট উইকেট হাতে রেখেই। তাও ৩৩ বল বাকি থাকতে।

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইংল্যান্ড কদিন আগেই প্রথমবারের তো অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করার কীর্তি গড়েছে। তাদের সামনে যে ভারতকেও খাবি খেতে হতে পারে, এমন আশঙ্কা ভারতীয়দের আগেই ছিলো। কিন্তু বিরাট কোহলির দল টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে দেয় ভিন্ন বার্তা। যে বার্তা সমুন্নত ছিলো ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও।

কিন্তু পরের দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড আবার তাদের দুর্দান্ত ফর্মের দুরন্ত রূপ দেখালো। যাতে ভারত গেলো স্রেফ উড়ে। ভারতের এই উড়ে যাওয়ার চিত্রনাট্য লিখে দেন মূলত ইংল্যান্ডের বোলাররা। ডেভিড উইলি ও আদিল রশিদ তিনটি করে উইকেট নিয়ে ভারতকে আটকে রাখেন ২৫৬ রানে। ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে এ রান করে ভারত।

এ দিন সুবিধা করতে পারেননি রোহিত শর্মা। ১৮ বলে দুই রান করে বিদায় নেন তিনি। দ্বিতীয় অবশ্য ৭১ রানের জুটি গড়ে ভালোই জবাব দেন শেখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি। ধাওয়ান ৪৪ করে ফিরে গেলেও কোহলি তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।

কিন্তু পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে পারেননি। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের খেলা দেখে এ দিন মনে হয়েছে লিডসে সম্ভবত বোলারদের স্বর্গরাজ্য তৈরি করে রেখেছে স্বাগতিকরা। কিন্তু ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নামার পর বদলে যায় দৃশ্যপট।

৭৪ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারালেও লক্ষ্য পূরণ করার পথে আর উইকেট হারায়নি ইংলিশরা। ৪৫ তম ওভারটি যখন করতে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া, ইংল্যান্ডের তখন জেতার জন্য চার রান দরকার। জো রুটের সেঞ্চুরি করতে দরকার ছয় রান। এই পরিস্থিতিতে প্রথম বলে লং অনে উঠিয়ে মারেন রুট। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়মিল পাকিয়ে ফেলেন তিনি। বল গড়িয়ে যেতে থাকে সীমানা পেরিয়ে।

কিন্তু দিনেশ কার্তিক ফিল্ডিং করে ফেরত পাঠান। জো রুট পান দুই রান। পরের বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন দাঁড়ায় দুই রান আর রুটের সেঞ্চুরির জন্য চার রান! এমন অবস্থায় রুট সেঞ্চুরি মিস করেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয় কৌতুহল।

দ্বিতীয় বলে কোনো রান নেননি রুট। তৃতীয় বলটা ওয়াইড দেন পান্ডিয়া! স্কোর যায় সমান হয়ে। এ অবস্থায় আরো একটা ওয়াইডই ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারতো ইংল্যান্ডকে আর রুট হতেন সেঞ্চুরিবঞ্চিত।

হার্দিক পান্ডিয়ার তৃতীয় বলটি ছিলো স্লো বাউন্সার। মিডউইকেটের দিকে মেরে দেন রুট। বল চলে যায় সীমানার বাইরে। এই শটেই নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের ম্যাচ ও সিরিজ জয় এবং রুটের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। সমান্তরালে যা শেষ করে দেয় ভারতের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন।