রশিদ-মুজিবের পর আরেক আফগান প্রতিভার চমক

রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের আলোতে আফগানিস্তান ক্রিকেট ক্রমেই উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে। জাতীয় দলের হয়ে তো বটেই, বিদেশি লিগগুলোতেও নিজেদের দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন তারা। এবার তাদের পর উঠে এলো আরো একজনের নাম। জাতীয় দলে নাম লেখানোর অপেক্ষায় থাকা এই প্রতিভা সুযোগ পেয়ে গেছেন কাউন্টি ক্রিকেটে। বলা হচ্ছে চায়নাম্যান বোলার জহির খানের কথা।

জহির খানের বয়স সবে ১৯ পেরিয়েছে। বাঁ-হাতি এই চায়নাম্যান স্পিনার বেশ নামডাক কুড়িয়েছেন ইতোমধ্যেই। প্রথম শ্রেণির সাত ম্যাচ খেলে উইকেট দখল করেছেন ৩৪টি। লিস্ট 'এ'-তে ৮ ম্যাচে তুলে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। গত আইপিএলে তাকে ৬০ লাখ রুপিতে কিনেছিল রাজস্থান রয়্যালস। এবার ইংলিশ কাউন্টি থেকেও ডাক এলো জহিরের জন্য।

আফগান তরুণের সঙ্গে চুক্তি করেছে কাউন্টির দল ল্যাঙ্কাশায়ার। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, মুজিবুর রহমানের পর চতুর্থ আফগান হিসেবে কাউন্টি ক্রিকেট খেলবেন জহির। কাউন্টি থেকে ডাক পেয়ে বেজায় খুশি তরুণ এই স্পিনার।

তিনি বলেন, 'আমি ল্যাঙ্কাশায়ারের সঙ্গে চুক্তি করাতে সত্যিই খুবই রোমাঞ্চিত। আমার স্বপ্ন ছিল কাউন্টি ক্রিকেট খেলার, বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করার। আমি অপেক্ষা দীর্ঘ করতে চাই না।'

আফগানিস্তান আইসিসির এফিলিয়েট সদস্য হয় ২০০১ সালে। ওই সময়টা থেকেই মূলত টুকটাক শিরোনামে আসে আফগান ক্রিকেট। তবে আফগানিরা ঠিকভাবে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়েছে তারও অনেক পর। এসিসি সদস্য হলেও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ডালপালা ছড়াতে পারেনি আফগানিস্তান ক্রিকেট। অবশেষে ২০১৩ সালে আইসিসির সহযোগী সদস্য হয় আফগানিস্তান।

ওই সময়টা থেকেই মূলত আফগান ক্রিকেটে পেশাদারিত্বের বিষয়টা চোখে পড়েছে। অল্প কয়েক বছরের এই পেশাদারিত্ব আফগান ক্রিকেটকে অনেক দূর নিয়ে গেছে। গত বছর আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়া দলটি রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে এখন যে কোনো দলের জন্যই হুমকি। নিজেদের দিনে বড় যে কোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা আছে আফগানিস্তানের। রশিদ, মুজিব ও জহিরদের উত্থানে সেই ক্ষমতা ক্রমেই বাড়ছে।