তবুও ওপেনিং সঙ্গীদের নিয়ে আশাবাদী তামিম

ওপেনিং নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুঃখ যেনো কিছুতেই শেষ হওয়ার নয়! এক সময় ওপেন করবেন কারা, দুশ্চিন্তা ছিলো এই নিয়ে। কালের বিবর্তনে দুশ্চিন্তাটা বদলে হয়েছে 'তামিমের সাথে ওপেন করবেন কে'! তামিম ইকবাল এক প্রান্তে ভরসা দিচ্ছেন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু অন্য প্রান্তের দুর্বলতা কাটছেই না। বরং যতো দিন যাচ্ছে এই দুর্বলতা ততোই বেড়ে চলছে।

তামিম ইকবাল অবশ্য আশা হারাচ্ছেন না। তিনি বরং মনে করছেন, একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ হলেনও তার ওপেনিং সঙ্গীরা ক্রমেই পরিণত হয়ে উঠবেন এবং বাংলাদেশকে তারা এনে দিবেন স্বস্তি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে সুখস্মৃতি নিয়ে ফেরার পর ১৬ আগস্ট সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন তামিম ইকবাল। এ দিন নিজের ওপেনিং সঙ্গীদের ব্যর্থতা বিষয়ে তিনি বলেন, 'যারা আমার সাথে ওপেন করছে, তাদের পারফর্ম্যান্স হয়তো আশানুরূপ হচ্ছে না। কিন্তু দলের সাথে থেকে আমি জানি যে, যারা খেলছে তারা সবাই প্রচুর পরিশ্রম করে। নিজেদের উন্নতির জন্য যতোটুকু কষ্ট করা দরকার, তা তারা করছে। কারো সামর্থ্যের বিষয়ে আমার সন্দেহ নেই। আমার বিশ্বাস তারা সবাই অন্তত ১০ বছর বাংলাদেশকে সার্ভিস দিতে পারবে। দরকার শুধু দুই একটা ম্যাচ ভালো দুই একটা ইনিংস। এটা হলেই ওরা স্থায়ী হয়ে যাবে।'

গত দুই তিন বছর ওপেনিংয়ে তামিমের যোগ্যতম সঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ব্যাট হাতে হঠাৎ করেই ছন্দ হারিয়ে ফেলেন তিনি। সেই ছন্দ হারানোটা এতোই দীর্ঘ হয় যে, দল থেকেই জায়গা হারিয়ে ফেলেন তিনি।

সর্বশেষ ১০ ইনিংসে ওপেন করতে নেমে সৌম্য হাফ সেঞ্চুরি করেছেন দুইবার। বাকি আটবারের মধ্যে ছয়বার তিনি বিদায় নিয়েছেন এক অংকের রান করে। যাতে আছে দুটি শূন্যও। এই পরিস্থিতিতে সৌম্যকে দলে রাখার কোনো যুক্তিই পাননি নির্বাচকরা।

চলতি বছরের শুরুতে সৌম্যর জায়গায় দলে সুযোগ পান এনামুল হক বিজয়। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ২০১৮ সালে সাত ম্যাচ খেলে মাত্র ৮৮ রান করেত পেরেছেন তিনি। এই অবস্থায় তাকে এশিয়া কাপের দলে না রাখা নিয়েই চিন্তা করতে হচ্ছে, তামিমের সঙ্গীর অভাব ঘোচানোর পরিকল্পনায় যে তিনি খুব একটা নেই; তা প্রমাণ হচ্ছে এতেই।

সৌম্য ও এনামুল হক বিজয়ের মাঝখানে তামিমের সঙ্গে গত দুই বছরে সাতটি ম্যাচে ওপেনিং করেছেন ইমরুল কায়েস। তিনিও ছিলেন সাদামাটা। সব মিলিয়ে তামিমের সঙ্গীর অভাব যেনো হয়ে উঠছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের চিরন্তন দুঃখগাঁথার অংশ।

তামিম তবু আশা হারাচ্ছেন না। তিনি বলেন, 'বিশ্বকাপের আর বেশদিন নেই। আশা করছি টিম ম্যানেজমেন্ট যাদের নিয়ে ভাবছে, তাদেরকে প্রয়োজনীয় সময় দেয়া হবে এবং তারা নিজেদের মানিয়ে নিবে।'