রশিদ খানকে ভয় পাচ্ছে বাংলাদেশ?

তিন ম্যাচে আট উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তানকে জিতিয়েছেন মূলত রশিদ খানই। আফগানিস্তানের এই স্পিনারের সামনে আবার পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। এই আসরের গ্রুপ পর্বেই রশিদ খেলতে হবে তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও মুশফিকু রহিমদের।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগে লিটন দাসকে নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশ দলে। সেই আলোচনার ফলেই কিনা কে জানে, সিরিজ খেলতে গিয়ে রশিদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ফলাফল ৩-০ ব্যবধানে লজ্জার সিরিজ হার।

এশিয়া কাপের আগেও কি রশিদ খানকে বাংলাদেশ ভয় পাচ্ছে? দুদিন আগে ম্যাচ-পরিস্থিতির অনুশীলনে দেখা গেছে যুবায়ের হোসেন লিখন ও তানভির হায়দারকে ডেকেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। লক্ষ্য ছিলো লেগ স্পিনারদের বিপক্ষে মুশফিকদের প্রস্তুত করে তোলা। সেই প্রস্তুতি কতোটা ভালো হয়েছে, তা বলে দিবে সময়। আপাতত প্রশ্ন হলো, রশিদ-জুজুতে কি আবার পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বুধবার অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন লিটন দাস। বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান লিগ স্পিন নিয়ে বলেন, ‘সে অনেক ভালো বোলিং করে। সে এখন সারা বিশ্ব শাসন করছে। তবে আপনাকে এটাও বুঝতে হবে যে এশিয়া কাপে ফরম্যাটটি ভিন্ন। টি-টোয়েন্টিতে রান করার তাড়া থাকে। কিন্তু ওয়ানডেতে খেলতে হয় ৫০ ওভার; এখানে তাকে খেলার জন্য অনেক সময় পাওয়া যাবে।’

লিটন দাস যেনো রশিদ খানকে খেলার টোটকাই বলে দিলেন। অর্থাৎ একটু সময় পেলে আর সময় নিয়ে খেললে রশিদ খানও হতে পারেন সহজবোধ্য এক বোলার, তার বিরুদ্ধেও খেলা যেতে পারে সহজাত ক্রিকেট।

পরিসংখ্যন যদিও বলছে, টি-টোয়েন্টিতে যেমন কার্যকর, ওয়ানডেতেও রশিদ খান ততোটাই ভয়ঙ্কর। ৩৫টি টি-টোয়েন্টি খেলে রশিদ খান নিয়েছেন ৬৪টি উইকেট। প্রতিটি উইকেট পেতে ১২.৪০ রান করে খরচ করেছেন তিনি। রশিদ ওয়ানডে খেলেছেন ৪৭টি। এতে তার উইকেট মোট ১০৮টি। প্রতিটি উইকেট পেতে এই ফরম্যাটে তাকে খরচ করতে হয়েছে ১৪.২২ রান। টি-টোয়েন্টির সাথে রশিদের ওয়ানডে পারফর্ম্যান্সে খুব বেশি ব্যবধান নেই।

লিটন হয়তো রশিদ খানকে ভয় পাচ্ছেন না। কিন্তু তার প্রতি সমীহটা নিশ্চয় আছে এই ব্যাটসম্যানের। রশিদ খানের বিরুদ্ধে সফল হওয়ার এটাই বোধহয় সবচেয়ে সেরা উপায়; তাকে সমীহ করো, কিন্তু ভয় নয়!