শ্রীলঙ্কার বিদায়, সুপার ফোরে বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের ক্রিকেট রূপকথায় যোগ হলো আরো একটি অধ্যায়। এশিয়া কাপে তাদের কাছে হেরে বিদায় নিলো পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। লঙ্কানদের হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠে গেলো আফগানিস্তান। তাগের আগে লঙ্কানদের হারানো বাংলাদেশও উঠে গেলো এশিয়া কাপের পরের পর্বে।

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারা শ্রীলঙ্কার জন্য সোমবারের ম্যাচটি ছিলো বাঁচা-মরার লড়াই। সেই লড়াইয়ে আফগানিস্তানের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না তারা। পক্ষান্তরে আফগানিস্তান পেলো সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে তাদের প্রথম ওয়ানডে জয়।

চান্দিকা হাথুরুসিংহের দল এশিয়া কাপে পা রেখেছিলো আরো একটা চ্যাম্পিয়নশিপের স্বপ্ন নিয়ে। তাদের স্বপ্নে সাহস জোগাচ্ছিলো আরব আমিরাতে খেলার বিস্তর অভিজ্ঞতা। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের যুদ্ধে নেমে কঠিন সময়ের সামনে পড়ে বিদায় নিলো শ্রীলঙ্কা।

সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে আগে বোলিংয়ে নামতে হয় তাদের। শ্রীলঙ্কা যেনো ম্যাচ হেরে বসে তখনই। আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙতেই তাদের গুনতে হয় ৫৭ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট নেয়া মালিঙ্গার এদিন ১০ ওভারে এক উইকেট পেতেই খরচ করতে হয়েছে ৬৬ রান। আফগানিস্তান লঙ্কানদের উপর কতোটা প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে, এটুকু তথ্য যেনো পরিষ্কার করে দিচ্ছে তা।

আগে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তান করে ২৪৯ রান। তখনই মনে হয়েছিলো কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে লঙ্কানদের সামনে। কারণ আফগানিস্তানের বোলারদের জন্য এই রানই যথেষ্ট মনে হচ্ছিলো। শেষ পর্যন্ত হয়েছে তা-ই।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন রহমত শাহ। ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানই আফগানিস্তানের ইনিংসের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান। শ্রীলঙ্কার হয়ে পাঁচ উইকেট নেন থিসারা পেরেরা।

২৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো রান না তুলতেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। কুসাল মেন্ডিসকে ফেরান মুজিব উর রহমান। শ্রীলঙ্কা অবশ্য পরের উইকেটে ৫৪ রান যোগ করে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়েছিলো। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।

আফগানিস্তানের বোলারদের সম্মিলিত আক্রমণের মুখে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে তারা। স্কোরবোর্ডে ১০০ রান তোলার আগেই চারজন লঙ্কান ব্যাটসম্যানকে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়। এরপর দেড়শ রানের মধ্যে পড়ে যায় আরো তিন উইকেট। লঙ্কানদের ইনিংস কার্যত শেষ হয়ে যায় তখনই। তারপরও শেষ তিন উইকেট হাতে নিয়ে ১৫৮ রান পর্যন্ত যায় তারা। শেষমেষ ৯১ রানের হার নিয়ে এশিয়া কাপ শেষ হয় তাদের।

আফগানিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান, গুলবাদিন নাইব, মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খান। এই চার বোলারের মধ্যে তিনজনই স্পিনার! আফগানিস্তানের স্পিন খেলার জন্য এখন প্রস্তুত হতে হবে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানকেও!